ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জি। আর কেন্দ্রীয়ভাবে ১১ বছর ধরে দেশ চালাচ্ছেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি।

দুই রাজনৈতিক দলই পশ্চিমবঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলীর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তাকে অতীতে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক এই সভপতিকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে। কিন্তু তিনি বরাবরই রাজনীতিকে ‘না’ বলে এসেছেন।

আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে সৌরভকে যদি রাজনীতিতে যোগ দিতে বলা হয়; কিংবা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাহলে কি তিনি সুযোগটা লুফে নেবেন?

ভারতে আরেকটি আকর্ষণীয় পদ হচ্ছে ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ। প্রায় দেড় শ কোটি মানুষের দেশে ক্রিকেটই সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, দলটির কোচও থাকেন সব সময় আলোচনায়।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দীর্ঘতম রাতও ভোর হয়, আমাদেরও বোধোদয় হোক

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে আমার সম্পর্কের শুরুর কথা বলতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে। সেই বছর আমি দ্বিতীয় জাতীয় দাবার বাছাইপর্বে প্রথম অংশগ্রহণ করি। তখন আমার বয়স ছিল ৯ বছর। আর এ বছর আমি ৫৯তম জন্মদিন পালন করলাম। অর্থাৎ পুরো অর্ধশতক। এই ৫০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের ক্রীড়াজগৎ নিয়ে আমাকে কিছু বলতে বলা হয়েছে।

স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ছিল মূল খেলা। এ দেশের মানুষ বরাবরই ফুটবলপ্রিয়। ১৯৫৮ সাল থেকে ঢাকায় আগা খান গোল্ড কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। স্বাধীনতার পরও খেলার তারকা বলতে আমরা ফুটবলারদেরই বুঝতাম। সালাহউদ্দিন ভাই, এনায়েত ভাই, চুন্নু ভাই, আসলাম ভাই—ওনারাই ছিলেন সত্তর–আশি দশকের তারকা। আমি নিজেও কিন্তু এই ফুটবল উন্মাদনার মধ্যে বড় হয়েছি। প্রতিদিন বিকেল হওয়ার আগেই আমি পাড়ার মাঠে ফুটবল খেলতে নেমে পড়তাম। ১৯৭৭ সালে আমি জাতীয় দাবা খেলোয়াড় হয়ে গেছি, কিন্তু ফুটবল খেলা মিস দিতাম না। দাবাগুরু কাজী মোতাহার হোসেন আমার সঙ্গে দাবা খেলতে আসতেন। বাইরে থেকে ফুটবল খেলার আওয়াজ আসত, আর আমার মন ছটফট করত। কিন্তু এমন একজন মনীষী সামনে বসা, আমার কিছু করার থাকত না।

আরও পড়ুনবিচারক ও পাঠকদের রায়ে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ঋতুপর্ণা৮ ঘণ্টা আগে

১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে এমসিসি, ভারতের ডেকান ব্লুজ এবং শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসে। আমরা এই ম্যাচগুলো মাঠে গিয়ে দেখেছি। এই সময় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা একটু বাড়তে থাকে। রকিবুল হাসান, ইউসুফ রহমান বাবু, জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা, শফিকুল হক হীরা প্রমুখ ঘরে ঘরে বেশ পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন। হকি তারকা সাব্বির ইউসুফ, আবদুস সাদেক প্রমুখের নাম আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু তাঁদের ফুটবলারদের মতো ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল না। তবে দাবা ফেডারেশনের রুমটা হকি স্টেডিয়ামের উল্টো দিকে হওয়ায় আমরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রায়ই হকি খেলা দেখতাম।

সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন (বাঁ থেকে) শেখ মোহাম্মদ আসলাম, নিয়াজ মোরশেদ, সাবরিনা সুলতানা ও আসিফ হোসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ