জর্ডানে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো করার পর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে থাকা জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্রয়ে নতুন স্বপ্নের জাল বুনেছে পিটার বাটলারের দল। নারী ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবার এশিয়া কাপে খেলার স্বপ্ন দেখছে মেয়েরা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আগে পাড়ি দিতে হবে বাছাই পর্বের গণ্ডি। বাংলাদেশের এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের শুরু ২৯ জুন। গ্রুপ ‘সি’তে সেরা হতে পারলেই এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্নপূরণের উচ্ছ্বাসে ভাসবেন আফেইদা খন্দকার-ঋতুপর্ণা চাকমারা।
ব্রিটিশ কোচের অধীনে সকাল-বিকাল অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে মেয়েরা। কঠিন চ্যালেঞ্জ জয়ের জন্য সব প্রস্তুতিই নিচ্ছে তারা। ইতিহাস হাতছানি দিচ্ছে বলে মেয়েদের নানাভাবে উৎসাহ দিচ্ছে কোচিং প্যানেল। মিয়ানমারে বাছাই পর্বে গ্রুপে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে একমাত্র তুর্কমেনিস্তান (১৪১) র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে। বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮, স্বাগতিক মিয়ানমার ৫৫তম ও বাহরাইন ৯২তম। গ্রুপে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মিয়ানমার। গ্রুপ সেরা হতে হলে লাল-সবুজের দলটিকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে মিয়ানমার।
তবে বাংলাদেশ নারী দলের গোলরক্ষক কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বলের বিশ্বাস মিয়ানমারকে হারাতে পারবেন তারা, ‘আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এবার আমরা এশিয়া কাপে খেলব। আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মিয়ানমার। তবে তাদের খেলা দেখে মনে হয়েছে আমরা জিততে পারব। জর্ডান, ইন্দোনেশিয়ার মতো দলের সঙ্গে ড্রয়ে দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ছ ই পর ব
এছাড়াও পড়ুন:
এক মাসে গড়াল আন্দোলন, ‘ভালো খবরের আশায়’ সচিবালয়ের কর্মচারীরা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। এ নিয়ে তাঁদের এ আন্দোলন এক মাসে গড়াল।
অধ্যাদেশকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। এ বিষয়ে ‘ভালো খবর আসবে’ বলে আশা করছেন তাঁরা।
সচিবালয় রাষ্ট্রের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর (কেপিআই) একটি। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই সচিবালয় থেকেই প্রধানত সারা দেশে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলো যায়। এমন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ভেতরে এত দিন ধরে কর্মচারীরা আন্দোলন করলেও এখনো এ বিষয়ে কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। অথচ সরকারের দুজন উপদেষ্টাই বলেছেন, এই অধ্যাদেশটি কিছু ক্ষেত্রে অপব্যবহারের আশঙ্কা আছে।
অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সরকার একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ। এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তায় আছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব। সেই কমিটি কাজ করছে। কিছুদিন আগে এ কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, অবশ্যই কিছু কিছু জায়গায় অধ্যাদেশটির পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই ২৫ মে অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন কর্মচারীরা। আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস খোলার এক দিন পর ১৬ জুন থেকে আন্দোলনকারী কর্মচারীরা আবার সচিবালয়ের ভেতর টানা বিক্ষোভ করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থিত সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে অবস্থান নিয়ে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বক্তব্য দেন।
‘ভালো খবর আসবে’ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর। তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। সেখানে আরও বক্তব্য দেন ফোরামের আরেক কো চেয়ারম্যান মুহা. নুরুল ইসলাম, কো মহাসচিব নজরুল ইসলাম প্রমুখ।