আর্সেনালের কোচ হয়ে বড় কোন শিরোপা জিততে পারেননি মিকেল আর্তেতা। দু’বার প্রিমিয়ার লিগে রানার্স আপ হয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্নও ভেঙেছে সেমিফাইনালে। তবে প্রজেক্ট দাঁড় করাতে একের পর এক ফুটবলার কিনেছেন তিনি।

এবার কিছু ফুটবলার বেচে দলে ভারসাম্য আনতে চায় গানাররা। নতুন ফুটবলার কিনতে হলে আর্থিক কাঠামোতেও আনতে হবে ভারসাম্য, কমাতে হবে বেতনের বোঝা। সেজন্য লন্ডনের ক্লাবটি আপাতত পাঁচ ফুটবলার বিক্রি করে দেওয়ার চিন্তা করছে। 

ওই তালিকায় আছেন আর্সেনালের লেফট উইঙ্গার ও ব্রাজিল জাতীয় দলে খেলা গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি। অবশ্য তাকে বিক্রি করে রদ্রিগো গোয়েসের মতো একজন উইঙ্গার কেনার কথাও ভাবছে গানাররা। মার্টিনেল্লিকে আবার কিনতে আগ্রহী জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। 

সংবাদ মাধ্যম বিল্ড দাবি করেছে, বায়ার্ন মিউনিখ স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিকো বিলবাও-এর নিকো উইলিয়ামসকে কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি বার্সায় যোগ দিচ্ছেন। এবার তাই বাভারিয়ানরা চোখ রাখছে মার্টিনেল্লির ওপর। এর বাইরে লিভারপুলের কোডি গাকপো ও লুইস দিয়াজে আগ্রহী ক্লাবটি। লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জেমি গিটেনসও আছেন বায়ার্ন মিউনখের পরিকল্পনায়। 

সংবাদ মাধ্যম দি টাইমস দাবি করেছে, মার্টিনেল্লির প্রতি আগ্রহ দেখানো ক্লাবের কাছে ৫০ মিলিয়ন ইউরো দাম চাইবে আর্সেনাল। কাছাকাছি দামে রাজি হলেই কেবল ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে ছাড়বে তারা। মার্টিনেল্লি ২০১৯ সালে গানার শিবিরে যোগ দেন। ক্লাবের সঙ্গে তার ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে। ভালো দাম পেতে আসন্ন মৌসুম তাকে ছেড়ে দেওয়ার সেরা সময়।  

এছাড়া বেতনের বোঝা কমাতে ওলেক্সজান্ডার জিনচেঙ্কো, রেইস নেলসন, জ্যাকুব কিউইঅর এবং আলবার্ট সাম্বি লোকোনগাকে বেচে দিতে চায় আর্সেনাল। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল আর স ন ল আর স ন ল ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে জনগণের সঙ্গে সুবিচার ও সদয় ব্যবহার করতে হবে: স্বরাষ্ট্রসচিব

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে জনগণের সঙ্গে সুবিচার ও সদয় ব্যবহার করতে হবে। অহংকার, লোভ, হিংসা, পরচর্চা ও অন্ধ আনুগত্য বর্জন করে আরও উদ্ভাবনী কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।

আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক বিশেষ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব নাসিমুল গনি সুরা সোয়াদ-এর ২৬ নম্বর আয়াত উল্লেখ করে বলেন, ‘হে দাউদ, আমি তোমাকে পৃথিবীতে খলিফা বানিয়েছি, সুতরাং মানুষের মাঝে ন্যায়বিচার করো এবং ব্যক্তিগত খেয়ালখুশির অনুসরণ করো না, নইলে তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে দেবে।’

অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসন্ন নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে একটি দৃষ্টান্তে পরিণত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সাজ্জাত আলী আরও উল্লেখ করেন, গত বছরে বিশেষ করে মহানগর পুলিশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একসময় যে ভঙ্গুর অবস্থায় পুলিশ চলে গিয়েছিল, তা থেকে এখন অনেকটাই পেশাদারত্বে ফিরে এসেছে। এই পেশাদারত্ব আরও উন্নত করে দেশ ও জাতির সেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে বক্তব্য দেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবির পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ