Samakal:
2025-06-23@23:21:36 GMT

আকাশের ওই গাঁয়ে

Published: 23rd, June 2025 GMT

আকাশের ওই গাঁয়ে

বিবর্জিত মনুষ্যত্ব 
তুহীন বিশ্বাস 

আমি নর্দমার পাশ দিয়েই হেঁটে যাই
যেখানে সব পরিত্যক্ত, পচা দুর্গন্ধময়,
তবুও আড়চোখে তাকিয়ে দেখি কীট;
পরিবর্তিত পোশাকেও নষ্ট চারিত্রিক ছাপ।

সানগ্লাস রঙে রাঙানো অতীত বসন্ত;
অন্ধত্ব বরণকারী মনুষ্যত্ব বিবর্জিত সময়, 
সম্মুখ উচ্ছ্বাসে বুঁদ হওয়া কলঙ্কিত অধ্যায়  
ঘোর কাটে একাকীত্বের নিঃস্ব আমিতে।

 

বন্দি পাখি 
আলমগীর কবির 

ভাবনা তোমার মিছে
দূরে সরে গেলেই দূরে থাকা যায়! 
দেখো না 
রূপবতী চাঁদ কতদূরে থেকে কেমন করে 
আলোর ফোয়ারায় সাজায় ঘরের কোণ।
চাইলেই কি জোসনা ফিরিয়ে দেওয়া যায়? 

ভাবনা তোমার মিছে 
একা ছুটে যাবে নদীর মতো।
দেখো না নদী চলতে চলতে
কত নতুন বাঁক পেরিয়ে 
শেষে মিলে মোহনায়।

 

মাটি 
রফিকুল নাজিম 

আকাশের ওই গাঁয়ে মেঘেদের বাড়ি
মেঘে মেঘের নৃত্য বিজলির আড়ি।
আকাশটা রেগে গিয়ে মেঘকে বলে,
‘বিতাড়িত হ রে তুই- বৃষ্টির জলে।’

মাটি শুনে বলে, ‘ওহে মেঘের দল,
বুকেতে পুষি আমি ব্যথার অনল।
নেমে এসো তবে- ঢালো যত জল
আমার বুকে আছে সায়র অতল!’

বিতাড়িত বৃষ্টি ঝরে মাটির অই বুকে
জলে জলে থাকে জল জলজ সুখে।
পৃথিবীর তরুলতা পশুপাখি কু’জন
মাটিতে দাঁড়ায় সব– মাটিতেই গোপন!
 

 

নিঃশব্দে বিষণ্ণতা
শারমিন নাহার ঝর্ণা

কিছু কথা ছুটে যায় বাঁধভাঙ্গা
নদীর মতো সত্য ন্যায়ের পক্ষে,
বুকের ভেতর তুমুল ঝড় ওঠে
বলতে না পারার যন্ত্রণায় ক্ষত বিক্ষত
হৃদয়ে রক্তবন্যা বয়ে যায় অগোচরে।
কিছু কথা পাহাড়ের মতো হৃদয়ে গেঁড়ে বসে
চোখে লবণাক্ত ঝর্ণা হয়ে ঝরে অবিরত।
কিছু কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় মুখে না বলেও,
একটি বিশ্বাসী চোখ থাকা চাই।
ঐ চোখে চেয়ে নিঃশব্দে বিষণ্নতা ভরা রাত
জেগে জেগে কাটিয়ে দেয়া যায়।
শূন্যতার এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত
কথা না বলেও পরিপূর্ণ করা যায়।

 

সমুদ্র অথবা একাকিত্ব 
নিজাম উদ্দিন আল সুমন

আমার একাকি রাতের একাকিত্ব সমুদ্র অথবা 
একান্ত আশা-নিরাশার সাম্পান তরী,
হাজার ঢেউয়ের ফেনীল মুক্তোঝরানো সৈকতে 
নিকট দূরের লক্ষ তারাদের আকাশে 
সাদাকালো মেঘেদের লুকোচুরি! 
ভালোলাগা কবিতার মতো তুমি কেন যেন 
ফিরে আসো শিহরিত শেষ রাতে!
দেখো, এখানে কতশত রুপালি কাঁকড়ার 
ঝলমলে ছুটে চলা, 
দূরে তুমি ডাকছো যেন ভালোবাসার ইশারাতে!!
না। তীব্র গতির দক্ষিণি হাওয়ার ফিসফিসানি 
আর রাতের প্রহরীদের হুইসেল–
তোমাকে নিয়ে আর ভাবতে দেয় না!
আমি ফিরে যাচ্ছি গতকালের হিসাবের খাতায়, 
জমা-খরচের জটিল সমীকরণের পাতায়.

..।

 

পুতুলবাজি 
আসাদুজ্জামান খান মুকুল 

রক্তিম রবি স্তিমিত যখন
আবিরের আভা মেখে,
দেখি ক্রমে ক্রমে আঁধার রজনি
ধরণী দিয়েছে ঢেকে।

প্রভাতের রবি দিয়েছিল উঁকি 
যবে জীবনের পর,
কলরোল কল কোলাহলে মাতি
বাঁধতে সুখের ঘর।

শূন্যের ঘড়া পূর্ণের তরে
সর্বদা রত থাকি,
ভাবিনি তো কভু সোনালি আলোক
তমসায় দিবে ঢাকি।

জীবনযুদ্ধে করেছি লড়াই 
উন্নত রেখে শির,
আজিকে আমার ত্রাসে কাঁপে বুক
ছাড়তে হবে যে নীড়!

আলোর ভুবনে বিমোহিত হয়ে 
খেলেছি রঙের খেলা,
পুতুলবাজির খেলায় কেবল 
ফুরায় দিবস বেলা।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইরান-ইসরায়েল: ডোনাল্ড ট্রাম্প

হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই যুদ্ধবিরতি চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। খবর-আল জাজিরা

তবে ইরান জানিয়েছে, তারা এখনও যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পায়নি এবং তাদের কাছে এমন কোনো প্রস্তাবের প্রয়োজনও নেই। তেহরানের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা সিএনএনকে এ কথা জানিয়েছেন। 

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য আমাদের কাছে প্রতারণার অংশ। এর মাধ্যমে তারা ইরানে হামলার যুক্তি দাঁড় করাতে চায়। এই মুহূর্তে শত্রু পক্ষ ইরানের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। আর ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা আরও জোরদার করার চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমরা শত্রুর মিথ্যা কথায় কান দিচ্ছি না। 

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। 

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ১২ ঘন্টার জন্য একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি মেনে চলার জন্য একমত হয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। যুদ্ধবিরতির সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষের প্রতি শান্তিপূর্ণ ও শ্রদ্ধাশীল থাকবে।

তিনি বলেন, সবকিছু যেমনটি করা উচিত তেমনভাবে হবে। এই ধারণার উপর ভিত্তি করে আমি উভয় দেশ- ইসরায়েল ও ইরানকে অভিনন্দন জানাতে চাই, তাদের দৃঢ়তা, সাহসের অবসান ঘটানোর জন্য, যাকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বলা উচিত।

মাকির্ন  প্রেসিডেন্ট বলেন, এ যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি, এবং কখনও হবেও না! ঈশ্বর ইসরায়েলকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর ইরানকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন। ঈশ্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করুন এবং ঈশ্বর বিশ্বকে আশীর্বাদ করুন!

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার জবাবে কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ অবস্থায় সংঘাত আরও চরমে পৌঁছার আশঙ্কার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিরসনে একটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরও এই যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ