কলাপড়ার শ্রমিক দল নেতা সোহেল দেওয়ানকে দল থেকে বহিষ্কার
Published: 24th, June 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা শ্রমিক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সোহেল দেওয়ানকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক দলের সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রমিক দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সাংগঠনিক পদ থেকে সোহেল দেওয়ানকে বহিষ্কার করা হলো।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সোহেল কয়েক দিন আগে কলাপাড়া পৌর শহরে একটি খাসজমি দখল করে স্থাপনা তোলার কাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেককে লক্ষ্য করে হুমকি দেন সোহেল। পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে আবার একই জায়গায় মুরগি বিক্রির জন্য অস্থায়ী দোকান বসান। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে।
কলাপাড়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি গাজী হারুন বলেন, সোহেল দেওয়ান বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। এসব কাজে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় শ্রমিক দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সাংগঠনিক পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘মব’ তৈরি করে সাবেক সিইসিকে হেনস্তার ঘটনায় এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার
‘মব’ (উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিশৃঙ্খলা) তৈরি করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, গত ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের রোড-১/এ, বাসা-২৯ এর সামনে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে ৬-৭ জন ঘিরে ফেলে। তারা প্রকাশ্যে সাবেক সিইসির গলায় জুতার মালা পরিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণসহ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাবেক সিইসির বিরুদ্ধে মামলা থাকায় বিষয়টি উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও তাদের সামনেই সাবেক সিইসিকে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সাবেক সিইসিকে ডিবি পুলিশের হেফাজতে হস্তান্তর করে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের নজরে আসলে সেনাবাহিনী দ্রুত অভিযানে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় ভায়োলেন্স সৃষ্টিকারী হিসেবে অভিযুক্ত মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইতোমধ্যে অন্যান্য জড়িতদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় অভিযান অব্যাহত থাকবে।