অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপের সঙ্গে খণ্ডকালীন চাকরিসহ নানা সুবিধা
Published: 25th, June 2025 GMT
ওশেনিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ভূখণ্ড অস্ট্রেলিয়ায় যুগ যুগ ধরে চলছে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষাচর্চা। পড়াশোনার জন্য বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেধাবীর কাছেই দেশটি এখন পছন্দে প্রথমের দিকে। চলুন, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, জীবনযাত্রার খরচ ও স্কলারশিপ-সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৫ সালের জন্য শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থীবান্ধব নগরীর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন (৫) ও সিডনি (৬)। জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও এই মেগাসিটি দুটিতে অনায়াসেই জায়গা করে নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। তা ছাড়া দুটি শহরসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবছরই থাকে কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন র্যাঙ্কিংয়ে থাকার অন্যতম কারণ হলো এগুলোর প্রতিটি দুইয়ের অধিক বিষয়ের পাঠদানের জন্য সেরা। প্রকৌশল, প্রযুক্তি, মেডিসিন, কলা ও মানবিকের নাম করলে প্রায়ই ঘুরেফিরে এই বিদ্যাপীঠগুলোর নাম আসে।
আরও পড়ুনসুইডেনে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপ, আছে আইইএলটিএসের বিকল্প, খণ্ডকালীন চাকরিতে ঘণ্টায় সাড়ে ৪০০০ টাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪*সেরা বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো—
ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন, ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মোনাশ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেড, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি, আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি।
*সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয় কোনোগুলো
অ্যাকাউন্টিং, অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি, সাইকোলজি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, আর্কিটেকচার, ইঞ্জিনিয়ারিং, হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড নার্সিং, বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট।
*আবেদনের সময় কবে
বছরজুড়ে সাধারণত তিনটি মৌসুমে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করে থাকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মৌসুমগুলো ফেব্রুয়ারি, জুলাই ও নভেম্বর ইনটেক হিসেবে পরিচিত। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কোর্সে ভর্তির সুযোগ থাকে ফেব্রুয়ারি ইনটেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ থেকে শুরু করে মে মাসের শেষ বা জুনের শুরু পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ করা হয় আগের বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে। ইন্টার্নশিপ বা কর্মসংস্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে এই মৌসুমই সর্বাধিক উপযুক্ত। জুলাই ইনটেকের আবেদন নেওয়া হয় এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত। অতঃপর ভর্তি শুরু হয় জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টের শুরুর দিকে। তারপর নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি। সর্বশেষ নভেম্বর ইনটেকে আবেদনের সময় সেপ্টেম্বর মাস। ভর্তিপ্রক্রিয়া চলমান থাকে নভেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অনলাইন পোর্টালে আবেদন করা যায়। মৌসুমগুলোকে কেন্দ্র করে ওয়েবসাইটগুলোতে ভর্তির শর্ত, কোর্সের পর্যাপ্ততা ও আবেদনের সময়সীমা হালনাগাদ করা হয়। তাই অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জানতে প্ল্যাটফর্মগুলোতে চোখ রাখা উচিত।
আরও পড়ুনডুওলিঙ্গো টেস্ট কী, প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন১৫ এপ্রিল ২০২৪*প্রয়োজনীয় কাগজপত্র—*অনলাইন আবেদনপত্র
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট: স্নাতকের ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের নথি, স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকের নথি এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র
ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র: ন্যূনতম যোগ্যতা স্বরূপ আইইএলটিএস স্কোর ৬, টোয়েফেল আইবিটিতে ৬৪, কেমব্রিজ ইংলিশ: অ্যাডভান্সডে ১৬৯, বা পিটিই (পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ) একাডেমিক-এ ৫০।
সিভি বা পোর্টফোলিও
এসওপি (স্টেটমেন্ট অব পার্পাস) বা পার্সোনাল স্টেটমেন্ট
লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)
রিসার্চ প্রপোজাল (ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য)
পেশাগত অভিজ্ঞতাপত্র (এমবিএ প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে)
বৈধ পাসপোর্ট
সাম্প্রতিক ছবি
অধ্যয়ন ফির জন্য আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণের জন্য কমপক্ষে কোর্সের প্রথম ১২ মাসের ফি। কোর্স ১২ মাস বা এর কম হলে সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ করতে হবে।
স্বাস্থ্যবিমাস্বরূপ ওএসএইচসি (ওভারসিজ স্টুডেন্ট হেলথ কভার)
আবেদন ফি: সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
এর বাইরেও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথি চাওয়া হতে পারে। কোনো কাগজ বাংলায় হলে তা অবশ্যই ইংরেজিতে অনুবাদ করে মূল কপিসহ অনূদিত কপি স্ক্যান করতে হবে। এখানে অনুবাদককে অবশ্যই জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে।
*স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন পদ্ধতি-
স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের মতো কোর্সগুলোতে অধ্যয়নের অনুমতি দেয় অস্ট্রেলিয়ার সাবক্লাস ৫০০ স্টুডেন্ট ভিসা। এখানে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দসই বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। এ ভিসার আবেদন অফলাইন ও অনলাইন দুই মাধ্যমেই করা যায়। আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করার জন্য দুটো প্ল্যাটফর্ম আছে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইটের অন্তর্ভুক্ত ইমি পোর্টাল ও ভিএফএস (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সার্ভিসেস) গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম।
যেকোনো একটিতে অ্যাকাউন্ট খুলে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করা যায়। তবে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য অবশ্যই ভিএফএস সাইটের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। উভয় ক্ষেত্রেই আবেদনের জরুরি কাগজপত্র আপলোডসহ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
ভিসার আবেদনের কাগজপত্র—
বৈধ পাসপোর্টের সঙ্গে জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রত্যয়িত অনুলিপি
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীর ভর্তির অফার লেটার
স্বাস্থ্যবিমা হিসাব ও এসএইচসি: বিমার মূল্যমান ন্যূনতম বার্ষিক ১ হাজার ডলার বা ৮১ হাজার ৮৫০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেফারেন্স বা রিকমেন্ডেশন লেটারের প্রত্যয়িত অনুলিপি)
পিএইচডির জন্য থিসিস বা রিসার্চ প্রপোজাল; সঙ্গে সিভি
আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ: জীবনযাত্রার খরচ বাবদ ১২ মাসের জন্য ২৯ হাজার ৭১০ ডলার (২৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৭২ টাকা), ভ্রমণ খরচ ২ হাজার ডলার (১ লাখ ৬৩ হাজার ৭০০ টাকা)। এর প্রমাণস্বরূপ নিজের নামে থাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদর্শন করতে হবে। শিক্ষার্থী এ খরচ বহন করলে তার আয়ের উৎস হিসেবে কর্মসংস্থানের প্রমাণ: চাকরিজীবী হলে চাকরির বেতন, পদবি ও সময়কাল উল্লেখপূর্বক নিয়োগকর্তার কর্মসংস্থান শংসাপত্র।
কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ তুলে থাকলে তার বিস্তারিত চুক্তিনামা
স্কলারশিপের ক্ষেত্রে স্কলারশিপ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিবৃতিপত্র
এ ছাড়া অন্য কেউ আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকলে যে তথ্যগুলো দিতে হবে, তা হলো-অর্থসহায়তা প্রদানকারীর সঙ্গে শিক্ষার্থীর সম্পর্কের প্রমাণ, তাঁদের পরিচয়নথি, আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রমাণপত্র, স্বাস্থ্য শংসাপত্র
অস্ট্রেলিয়ান ভ্যালু স্টেটমেন্টে সই বা সম্মতি প্রদান
প্রতিটি নথির মূল এবং অনুলিপি উভয় কপির রঙিন ও স্পষ্ট স্ক্যান করতে হবে, যেন তা সহজে পাঠযোগ্য হয়। কোনো নথি একের অধিক পৃষ্ঠার হলে সবগুলোকে ১টি ফাইলে নিতে হবে।
পরিচয়ের নথিগুলো প্রতিটি অনূর্ধ্ব ৫০০ কিলোবাইট আর বাকি নথিগুলোর প্রতিটি সর্বোচ্চ ৫ মেগাবাইট পর্যন্ত হতে পারবে।
প্রথম আলো ফাইল ছবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট স ট টম ন ট ব শ বব দ য শ বব দ য ল ক গজপত র আর থ ক স ন র জন য ভর ত র ইনট ক
এছাড়াও পড়ুন:
‘শাপলা’ প্রতীক পেতে কোনো বাধা দেখছেন না এনসিপি আহ্বায়ক
দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ পেতে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় নতুন প্রতীক হিসেবে যুক্ত হলে তা বিধিসম্মতভাবে এনসিপির জন্য বরাদ্দ হবে বলে আশা রাখেন তিনি। সেই সঙ্গে অন্য একটি দল ‘শাপলা’ প্রতীক দাবি করলেও তা নির্বাচন কমিশন নিষ্পত্তি করবে বলে জানায় দলটি।
রোববার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপি প্রতিনিধি দল। এ বৈঠকে সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে এনসিপি আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে দল নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র কমিশনে জমা দেন তারা। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নির্বাচন ভবনের নিচে নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এনসিপি আহ্বায়ক।
নাহিদ ইসলাম জানান, রোববার নির্ধারিত সময়ে এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্তপূরণ করে কাগজপত্রসহ আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২শ’ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র, কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আমরা আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যে এনসিপি নিবন্ধন পাবে।
তিনটি প্রতীকের জন্য এনসিপি আবেদন করেছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রথম পছন্দ শাপলা। আশা করছি, জনগণের মার্কা হিসেবে, গণঅভ্যুত্থানের মার্কা হিসেবে, গ্রাম বাংলার প্রতীক হিসেবে এনসিপি শাপলা প্রতীক পাবে। শাপলা মার্কা নিয়ে আগামী দিনে নির্বাচনে অংশ নেবো।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রবাসী ভোটাধিকারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা জোর দাবি জানিয়েছি প্রবাসীদের ভোটাধিকার যে কোনো মূল্যে যাতে রক্ষা হয়। এখনও ইসি সিদ্ধান্ত নেয় নি কোন প্রক্রিয়ায় হবে। দ্রুত সময়ে নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন।’
জাতীয় প্রতীক শাপলা কীভাবে এনসিপি বরাদ্দ পাবে? জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ইসির যে আইন-বিধি আমরা পর্যালোচনা করেছি, সেই আইনগুলোতে এ ধরনের কোনো বাধা-নিষেধ নেই। জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল একটি দলের মার্কা হিসেবে রয়েছে।সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখি নি বলে আমরা এটিতে (শাপলা) আবেদন করেছি।’
জাতীয় প্রতীকের একটি কথা এসেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, জাতীয় প্রতীক কেবল শাপলা নয়। শাপলা, ধানের শীষ, তারকা-এগুলো মিলিয়ে জাতীয় প্রতীক। সেক্ষেত্রে ধানের শীষ, তারকা বা তারা– এ দুটোও দুটি দলের মার্কা হিসেবে রয়েছে। ফলে সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইনগত সমস্যা দেখি না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা শাপলাকে মার্কা হিসেবে নিয়েছি। নদীমাতৃক বাংলাদেশের সবার কাছে পরিচিত শাপলা। সাধারণের দল হিসেবে আমরা শাপলাকে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে আবেদন করেছি।’
ইতোমধ্যে নাগরিক ঐক্য তাদের ‘কেটলি’ প্রতীক পাল্টে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘একটি দলের কথা বলেছিলেন, উনারা একটি প্রতীক অলরেডি পেয়েছেন। বিদ্যমান তালিকা থেকে যদি নিষ্পত্তি হয়ে যায়, বর্তমানে যে প্রতীক (শাপলা) চেয়েছে, সেটা নেই (বিধিমালায়)। ফলে এটার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশন বিধিমালায় এনসিপির চাওয়ার প্রতীকগুলো অন্তর্ভুক্ত হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে প্রতীকগুলো (বাকি) রয়েছে তাতে ভালো কোনো প্রতীক দেখি না আমরা। নতুন প্রতীক আসার সিদ্ধান্ত হবে। পদ্ধতিগত ভুল কোনো সমস্যা বলে মনে করি না আমরা।’