দলীয় প্রধানের বাসভবনে ‘জেনারেল পার্টি’র কার্যালয়, সাইনবোর্ড-আসবাব কিছুই নেই
Published: 25th, June 2025 GMT
‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’ (বিজিপি) নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। দলটির দাপ্তরিক কার্যালয় হিসেবে দেখানো হয়েছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার হক ভিলার পঞ্চম তলা। তবে সরেজমিনে সেখানে দলীয় কার্যালয়ের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে হক ভিলার পঞ্চম তলায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্লোরজুড়ে ইটের স্তূপ ও নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেখানে দরজা-জানালাবিহীন দুটি ঘর রয়েছে, যেগুলোর মেঝেতেও ইট ও খোয়ার স্তূপ। কোনো আসবাব নেই, নেই কোনো দলীয় চিহ্ন বা সাইনবোর্ড।
ভবনের আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ওই ভবনে বা মহল্লায় রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম কখনো লক্ষ করেননি তাঁরা। অনেকেই ‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’ নামের কোনো দল সম্পর্কে জানেন না বলেও জানান।
হক ভিলাসংলগ্ন বাসিন্দা ও নবাবগঞ্জ কারিগরি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি নামে কোনো রাজনৈতিক দল আছে বা তাদের কোনো কার্যক্রম হয় বলে আমার জানা নেই।’
দলটির শীর্ষ পদের নাম ‘জেনারেল চেয়ারম্যান’। ওই পদে আছেন হক ভিলার মালিক রেজাউল হক। তিনি পেশায় আইনজীবী। সাধারণত দিনে দিনাজপুর আদালতে থাকেন এবং সন্ধ্যায় এলাকায় ফেরেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে হক ভিলায় গিয়ে জানা যায়, রেজাউল হক ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ভবনের তৃতীয় তলায় নির্মাণকাজে নিয়োজিত রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমান বলেন, গত ছয় মাসে ভবনের পঞ্চম তলায় কোনো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বা কার্যক্রম হতে দেখেননি।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার হক ভিলার পঞ্চম তলায় ‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’র কার্যালয় আছে বলে নির্বাচন কমিশনে করা আবেদনে জানানো হয়েছে। যদিও সরেজমিনে এটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক হক ভ ল র ভবন র
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ