‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’ (বিজিপি) নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। দলটির দাপ্তরিক কার্যালয় হিসেবে দেখানো হয়েছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার হক ভিলার পঞ্চম তলা। তবে সরেজমিনে সেখানে দলীয় কার্যালয়ের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে হক ভিলার পঞ্চম তলায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্লোরজুড়ে ইটের স্তূপ ও নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেখানে দরজা-জানালাবিহীন দুটি ঘর রয়েছে, যেগুলোর মেঝেতেও ইট ও খোয়ার স্তূপ। কোনো আসবাব নেই, নেই কোনো দলীয় চিহ্ন বা সাইনবোর্ড।

ভবনের আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ওই ভবনে বা মহল্লায় রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম কখনো লক্ষ করেননি তাঁরা। অনেকেই ‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’ নামের কোনো দল সম্পর্কে জানেন না বলেও জানান।

হক ভিলাসংলগ্ন বাসিন্দা ও নবাবগঞ্জ কারিগরি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি নামে কোনো রাজনৈতিক দল আছে বা তাদের কোনো কার্যক্রম হয় বলে আমার জানা নেই।’
দলটির শীর্ষ পদের নাম ‘জেনারেল চেয়ারম্যান’। ওই পদে আছেন হক ভিলার মালিক রেজাউল হক। তিনি পেশায় আইনজীবী। সাধারণত দিনে দিনাজপুর আদালতে থাকেন এবং সন্ধ্যায় এলাকায় ফেরেন।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে হক ভিলায় গিয়ে জানা যায়, রেজাউল হক ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ভবনের তৃতীয় তলায় নির্মাণকাজে নিয়োজিত রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমান বলেন, গত ছয় মাসে ভবনের পঞ্চম তলায় কোনো রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বা কার্যক্রম হতে দেখেননি।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার হক ভিলার পঞ্চম তলায় ‘বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি’র কার্যালয় আছে বলে নির্বাচন কমিশনে করা আবেদনে জানানো হয়েছে। যদিও সরেজমিনে এটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক হক ভ ল র ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বললেন ঢাবি ভিসি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার বিষয়টি জানালেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।

গতকাল ঢাবির ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এদিন রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। রাত ১টার পর আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ঢাবি উপচার্য বলেন, “২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটিই বহাল থাকবে এবং প্রত্যেক হল প্রশাসন এই নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”

ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত হল কমিটি নিয়ে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন তিনি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে হল পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন।

এসময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে—

ছাত্রদল কেন কমিটি দিলো উপাচার্যকে জবাব দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে এক্সিসটিং গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক এরিয়ায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে।

ঢাকা/সৌরভ/ইভা  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ
  • ঢাবিতে ছাত্রদলের মৌন মিছিল
  • শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বললেন ঢাবি ভিসি
  • ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে, প্রক্টরের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামালেন শিক্ষার্থীরা