রাতে আম দিয়ে দুধভাত খেলে কী উপকার
Published: 25th, June 2025 GMT
আমে প্রাকৃতিক চিনি, দুধে প্রোটিন ও ভাতে পাবেন শর্করা। এই তিনটি উপাদান একসঙ্গে খেলে দেহে তাড়াতাড়ি শক্তি সরবরাহ করবে। ২২৬ গ্রাম আমদুধ খেলে দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ ভিটামিন এ এবং ৩৩ শতাংশ ভিটামিন সি মেলে।
আমে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং দুধে থাকা ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২ ও ভাতে ভিটামিন বি ও থায়ামিন থাকায় চোখ, দাঁত, পেশি, হাড় মজবুত করে। খাবারটি শরীরে এমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আমের সঙ্গে ভাত ও দুধ খেলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ করতে পারে। আম পুষ্টিকর খাবার, দুধও পুষ্টিকর। এই দুটি পুষ্টি উপাদানই শরীরের জন্য জরুরি। যাঁরা ভাত খেতে চান না, তাঁরা দুধের সঙ্গে আম মেখে খেতে পারেন।
অনেকে ভাবেন, আমের সঙ্গে দুধ ও ভাত খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে চিকিত্সকেরা বলছেন, এই ধারণা ভুল। যাঁদের দুধ খেলে সমস্যা, তাঁরা বাদে বাকিদের বেলায় কোনো সমস্যা নেই। বরং দুধভাত ও আম খেলে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি পুষ্টি পাওয়া যায়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে দুধ ও ফল আলাদা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সেটা টকফল। এই শাস্ত্রে এটাও বলা হয়, দুধের সঙ্গে খাঁটি মিষ্টি ও পাকা ফল, যেমন আম, খেজুর ইত্যাদি মিশিয়ে খেতে পারেন। কারণ, দুধের সঙ্গে পাকা আম খেলে পিত্ত ভালো থাকে।
আম যেকোনো সময় খাওয়া যায়। তবে আপনি কখন খাবেন, সেটা আপনার বয়স, শারীরিক অবস্থা ও হজমশক্তির ওপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুনঢাকায় ছাদবাগানেই বিভিন্ন জাতের মণকে মণ আম ফলিয়েছেন সফিকুল ইসলাম১৮ জুন ২০২৫আম দিয়ে দুধভাত খেলে কী উপকারদুধ–ভাত খেলে মিলবে অনেক উপকার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাঁদের টানে দেশে ফিরলেন, তাঁদেরই কবরে শোয়ালেন বাহার
ওমানপ্রবাসী আবদুল বাহার স্বজনদের সঙ্গে ফিরছিলেন বাড়িতে। মা, স্ত্রী, মেয়ে, নানি, ভাইয়ের স্ত্রী, ভাইয়ের মেয়ে সবাই ছিলেন সঙ্গে। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাড়িতে অনেক হাসিঠাট্টা, খুনসুটি চলছিল। কিন্তু কে জানত মুহূর্তেই এই আনন্দের পরিবেশ পরিণত হবে বিষাদে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামে এসে পৌঁছায় বাহারের নানি ফয়জুন নেসা (৮০), মা খুরশিদা বেগম (৫৫), স্ত্রী কবিতা বেগম (৩০), মেয়ে মীম আক্তার (২), ভাতিজি রেশমি আক্তার (১০), ভাবি লাবনী বেগম (৩০) এবং লাবনীর মেয়ে লামিয়া আক্তারের (৯) মরদেহ।
ওমান থেকে দেশে ফেরা আবদুল বাহারকে আনতে ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেশে ফেরা আনন্দে শেষতক নেমে এল মৃত্যুর ছায়া। গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর এলাকায় বাড়ি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি একটি খালে পড়ে। বাহার ছাড়া পরিবারের কেউই ফিরে আসেননি।
গতকাল সকালে বাহারদের বাড়ির ছোট উঠানজুড়ে সারি সারি সাতটি লাশ এনে রাখা হয়। খবর পেয়ে সকালেই লোকজন জড়ো হয়েছেন। শেষযাত্রার কিছু আয়োজনও সম্পন্ন হয়েছে। এক পাশে গোসলের জন্য টানানো হয়েছে শামিয়ানা। উঠানে পাতা হয়েছে চেয়ার। সবকিছুর মধ্যে নিদারুণ এক শোকের বার্তা।
যাঁদের জন্য প্রবাস থেকে ফেরা, তাঁদেরই কবরে শোয়ালেন বাহার। দুই বছরের মেয়ে মীমকে ভালো করে একটু বুকে জড়িয়ে আদরও করা হলো না। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একসঙ্গে জানাজা হয় ছয়জনের। বাহারের নানি ফয়জুন নেসার লাশ নেওয়া হয় পাশের ইউনিয়ন হাজির পাড়ায়। বাকিদের দাফন হয় জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামে।
পারিবারিক কবরস্থানে এক সারিতে দুটো কবর, সামান্য দূরেই চারটি। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেখানেই একে একে মা খুরশিদা বেগম, স্ত্রী কবিতা, মেয়ে মীমসহ নিহত স্বজনদের শুয়ে দেন বাহার।
চৌপল্লী গ্রামে মানুষের ভিড়। এত মৃত্যু একসঙ্গে আর দেখেনি কেউ। শোকে স্তব্ধ গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল বিকেলে