চট্টগ্রামের সাবেক ৩ এমপি হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
Published: 25th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৩ আগস্ট সংঘটিত আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো (শ্যোন অ্যারেস্ট) হয়েছে কারাগারে আটক আওয়ামী লীগের সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ ১০ জনকে।
আজ বুধবার (২৫ জুন) চট্টগ্রামের ৪র্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৫ জনের গ্রেপ্তার আবেদন করেন, যার মধ্যে ১০ জন আসামি শুনানিতে অংশ নেন।
যে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, আবু রেজা নদভী, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর সলিম উল্ল্যাহ বাচ্চু, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, এমরান, জিনাত সোহানা চৌধুরী, আকবর আলী, রেজাউল হাসান সবুজ ও আবুল বশর। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো.
আরো পড়ুন:
ডিএনএ জানিয়ে দিল অজ্ঞাতনামা খুনির পরিচয়, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
উখিয়ায় ডাকাত সর্দারের ‘গানম্যান’ গ্রেপ্তার
আদালত সূত্র জানায়, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের আমলের সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীসহ মোট ১৫ জনের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত ১০ জনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল হাকিম উল্লেখ করেছেন, ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সাবেক সরকারদলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা আসামিরা মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে মিলে নাশকতা চালিয়েছে বলে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ত কর ম ১০ জন
এছাড়াও পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।”
আরো পড়ুন:
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
তিনি বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”
তিনি আরো যোগ করেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, এই অভিযোগগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তিনি তার মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন
ঢাকা/রফিক