রিমান্ড শেষে আবারও জেলহাজতে সেই প্রকৌশলী
Published: 26th, June 2025 GMT
রিমান্ড শেষে আবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে সেই প্রকৌশলীকে। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ তাকে নীলফামারী জেলহাজতে পাঠায়।
ওই প্রকৌশলীর নাম সুলতান মৃধা। তিনি সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) হিসেবে কর্মরত আছেন।
মঙ্গলবার রেলওয়ে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সুলতান মৃধার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ওইদিন বিকেলে তাকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য নিজ জিম্মায় নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার এসআই মাহবুব রশীদ। তিনি বলেন, মামলায় প্রকৌশলী সুলতান মৃধা প্রধান আসামি। তবে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬-৭ জন আসামি রয়েছে। তাদের বিষয়ে তথ্য জানতেই রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসবাদে অনেক তথ্য মিলেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাবে না।
এর আগে ১৮ জুন দিবাগত রাতে প্রকৌশলী সুলতান মৃধার কার্যালয়ের গোডাউন ও ইয়ার্ডে রাখা রেললাইনের পাত গোপনে দুটি পিকআপ ভ্যানে করে বিক্রি করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওইদিনই বিকেল ৩টায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও রেলওয়ে পুলিশের কর্মকর্তার যৌথ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরেরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ