বিদেশে থাকা প্রবাসীদের জন্য অফশোর (ওবিইউ) ব্যাংকিংয়ে সেবার পরিধি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

সার্কুলারে জানানো হয়, এখন থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটগুলো প্রবাসী বা বিদেশি হিসাবধারী গ্রাহকদের বিভিন্ন বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সেবা দিতে পারবে। এর মধ্যে অ্যাডভাইজিং, আদায় ও পরিশোধ নিষ্পত্তির মতো সেবা অন্তর্ভুক্ত।

সার্কুলারে আরো বলা হয়, এসব কার্যক্রম পরিচালনার সময় নির্ধারিত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হলো— গ্রাহকের পক্ষে কোনো ধরনের আর্থিক দায় নেওয়া যাবে না, গ্রাহক সেবার বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে, লেনদেনের আগে যথাযথ যাচাই বাছাই করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানি ট্রান্সফার অপারেটর, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার, ডিজিটাল ওয়ালেট বা কার্ড স্কিম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত অন্যান্য পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের মাধ্যমে গ্রাহকের হিসাবে রেমিট্যান্স জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে ওবিইউ। এ ক্ষেত্রে বিদেশে অবস্থানরত সংশ্লিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদনও থাকবে।

কোনো রেমিট্যান্স যদি অন্য কোনো ওবিইউ বা ব্যাংকের গ্রাহকের পক্ষে আসে, তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে আরটিজিএস (রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) সিস্টেমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে স্থানান্তর করতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন নির্দেশনার ফলে প্রবাসীদের ব্যাংকিং সেবা নেওয়ার আরও সহজ হবে। দেশের বৈদেশিক লেনদেন কাঠামো আরো আধুনিক ও গতিশীল হবে।

ঢাকা/এনএফ/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হক

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ বিক্রি হচ্ছে

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের একটি অংশ বিক্রি হচ্ছে। এসব সম্পদ বিক্রি করে তাঁর দায়দেনা পরিশোধ করা হবে।  সোমবার ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামানের মালিকানাধীন ছয়টি আবাসন কোম্পানি দেশটির প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় চলে গেছে। এসব কোম্পানির মাধ্যমে সে দেশে সাইফুজ্জামানের বিভিন্ন সম্পদ পরিচালিত হতো।

টেলিগ্রাফ বলেছে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করার পর যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামানের সম্পদের সাম্রাজ্যের বিষয়টি সামনে আসে। দেশটিতে তাঁর তিন শতাধিক প্রোপার্টি (বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট) রয়েছে। এগুলোর মূল্য ১৭ কোটি পাউন্ড। অভিযোগ রয়েছে, ব্রিটেনে অর্থ পাচার করে এসব সম্পদ করেছেন তিনি।

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) গত জুনে সাইফুজ্জামানের বেশ কিছু সম্পদ জব্দ করে। তার মধ্যে নর্থ লন্ডনের সেন্ট জনস উড এলাকায় ১১ মিলিয়ন পাউন্ডের বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া সেন্ট্রাল লন্ডনের ফিটসরোভিয়া এলাকায় অনেকগুলো ফ্ল্যাট রয়েছে।

এখন যুক্তরাজ্যের সম্পদ ব্যবস্থাপনাপ্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটনের প্রশাসকেরা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের একটি অংশ বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছেন। সাইফুজ্জামানের এসব সম্পদ হলো লন্ডন ও ইংল্যান্ডের দক্ষিণ–পূর্বের বিভিন্ন শহরে থাকা আবাসিক ভবন। এসব সম্পদ বিক্রি থেকে যে অর্থ আসবে, তা ঋণদাতাদের অর্থ পরিশোধে ব্যয় করা হবে। ঋণদাতাদের মধ্যে সিঙ্গাপুরের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ডিবিএস এবং ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংক রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের কোম্পানিজ হাউসে জমা পড়া আবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কাছ থেকে ৩৫ কোটি ডলার সমপরিমাণের অর্থ ফেরত চাইছে।

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ সরকার–ঘনিষ্ঠ অনেকের দেশ–বিদেশে থাকা অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাইফুজ্জামান ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমান ও ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দ করেছে এনসিএ।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি জব্দ১১ জুন ২০২৫আরও পড়ুনলন্ডনে সালমানের ছেলে ও ভাতিজার ১,৪৭৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ২৪ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ