ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ থামলেও ক্লাব বিশ্বকাপে তাঁর খেলা অনিশ্চিত
Published: 26th, June 2025 GMT
ইসরায়েল ও ইরানের টানা ১২ দিন পাল্টাপাল্টি তীব্র হামলার মধ্যে তেহরানে আটকা পড়েছিলেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার মেহদি তারেমি। ইরানের এই ফুটবলার ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য তেহরানের বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন আকাশপথ সাময়িক বন্ধ রাখায় তাঁর ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। তারপর তেহরানেই আটকে ছিলেন তারেমি।
আরও পড়ুন৭৭ ম্যাচ আর ৫৫৪৬ মিনিট—আলভারেজের বিরামহীন ১২ মাস৪১ মিনিট আগেবিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তেহরান থেকে অবশেষে বের হতে পেরেছেন তারেমি। ইরানের রাজধানী থেকে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ গাড়ি চালিয়ে নিজের জন্মশহর বুশেহেরে ফিরেছেন ৩২ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার। সেখানে এখন একাই অনুশীলন করছেন তারেমি। ক্লাবের সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় আছেন। আজ রিভার প্লেটকে ২-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় উঠেছে ইন্টার। তবে ইতালির সংবাদমাধ্যম ‘গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ট’ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তারেমির দলের সঙ্গে যোগ দিতে না পারার শঙ্কাই বেশি।
ইরান জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে দেশে ফিরেছিলেন তারেমি। বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে উত্তর কোরিয়াকে ৩-০ গোলে হারানোর পর তারেমি আর দেশ ছাড়তে পারেননি। যুদ্ধ শুরু হওয়ায় আটকা পড়েন। তবে গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশ।
আরও পড়ুনমেসির বেতন এমএলএসের ২১টি দলের মোট বেতনের চেয়েও বেশি১ ঘণ্টা আগেতারেমি জানিয়েছেন, ফিটনেস ঠিক রাখতে তিনি দেশেই অনুশীলন করছেন। তবে পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম ‘এ বোয়া’ জানিয়েছে, আগামী দলবদলের মৌসুমে তিনি ইন্টার ছাড়তে পারেন। যোগ দিতে পারেন ইংল্যান্ডের ক্লাব নটিংহাম ফরেস্ট কিংবা ফুলহামে। গত বছর জুলাইয়ে ইন্টারে সই করা তারেমি ক্লাবটির প্রথম ইরানি খেলোয়াড়।
ক্লাব বিশ্বকাপে তারেমিকে না পাওয়ায় আক্রমণভাগের অন্য দুই খেলোয়াড় লাওতারো মার্তিনেজ ও মার্কোস থুরামকে খেলাচ্ছেন ইন্টার কোচ ক্রিস্টিয়ান চিভু। আজ তো অভিষেক হলো ১৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকার ফ্রানচেস্কো পিও এসপসিতোর।
সংবাদমাধ্যম ‘ফুটবল ইতালিয়া’ জানিয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই ইন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে তারেমির। কোচ চিভুর সঙ্গে কথাও বলেছেন। বুশেহেরে নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন তারেমি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প ইন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পীত্রয়ীর পোস্ট: কে কাকে খোঁচা দিলেন
হঠাৎ করেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এলেন দেশের সংগীতাঙ্গনের তিনজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী—কনা, ন্যান্সি ও সালমা। বিষয়টি শুরু হয় কনার সংসার ভাঙার খবরে, কিন্তু এরপর একে একে দুটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তৈরি হয় গুঞ্জন— কে কাকে খোঁচা দিলেন? আর কে দিলেন সহানুভূতির বার্তা?
কনার আবেগঘন ঘোষণা। বুধবার (২৫ জুন) রাতে ফেসবুক পেজে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাসে দীর্ঘ ছয় বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটার কথা জানান দিলশাদ নাহার কনা। তিনি লেখেন, “আমি আপনাদের ভালোবাসার কনা। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে সবই আল্লাহর ইচ্ছা। ঠিক তেমনি যেকোনো বিচ্ছেদও হয় তাঁরই ইশারায়। আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী এবং প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে, দীর্ঘ ছয় বছরের বিবাহিত জীবনের পর আমি এবং গোলাম মোহাম্মাদ ইফতেখার গহিন গত ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছি।”
এই স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়তেই সহানুভূতি ও সমবেদনার ঢেউ ওঠে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে। কিন্তু এরপরই আলোচনার মোড় ঘুরে যায়। কনার স্ট্যাটাসের কিছুক্ষণ পরেই নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, “জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, বিচ্ছেদ— এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়… বাণীতে শেয়াল রানী!”
ন্যান্সি কারও নাম উল্লেখ না করলেও স্ট্যাটাসের সময় এবং বক্তব্য দেখে অনেকেই ধরে নেন, এটি কনার উদ্দেশে ব্যঙ্গাত্মক খোঁচা। পোস্টটি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারও চোখে এটি ঠাট্টা, আবার কারও মতে এটি অপ্রয়োজনীয় বিদ্রূপ।
এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী চমক হিসেবে আসে সালমার স্ট্যাটাস। তিনি নাম উল্লেখ না করলেও তার লেখায় স্পষ্টতই একটি সহানুভূতির সুর এবং শিল্পীসমাজে ঐক্যের আহ্বান পাওয়া যায়। তিনি লেখেন, “মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়। কঠিন সময়ে শিল্পীর পাশে থাকাটা জরুরি। আমাদের ট্যাগ কিন্তু আমরা শিল্পী। সেখানে আমাদের কর্তব্য সবাই একসাথে মিলে থাকাটা। দুই দিনের দুনিয়া কে কখন আছি আবার নেই। যার যার কষ্ট তার তার। সবাই মিলে ভালো থাকার চেষ্টা করুন।”
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশ মনে করছেন, সালমা পরোক্ষভাবে কনার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে ন্যান্সির খোঁচার প্রতি সমালোচনামূলক ইঙ্গিত করেছেন।
তিনজন প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর পরপর পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে জন্ম দিয়েছে আলোচনা ও কিছুটা বিভাজনেরও। তবে একথা স্পষ্ট— শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবনের কষ্টের মুহূর্তে সমবেদনা ও সংবেদনশীল হওয়া উচিত। কে কাকে খোঁচা দিলেন, আর কে পাশে দাঁড়ালেন তা সময়ই বলবে।
ঢাকা/রাহাত