হামজা দেওয়ান চৌধুরী-শমিত সোমদের মতো তারকাদের অভিষেক হয়েছে লাল-সবুজের জার্সিতে। তাদের দেখে বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখছেন বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা। হামজার মতো নতুন তারকার সন্ধান করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৮, ২৯, ও ৩০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বসতে যাচ্ছে প্রবাসী ফুটবলারের মেলা। ১৪ দেশ থেকে ৫১ ফুটবলার বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন নিয়ে নিজ খরচে ঢাকায় আসছেন। বাফুফের আয়োজনে এই ট্রায়ালের পোশাকি নাম ‘বিএফএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার’। ট্রায়ালে টিকে যাওয়া খেলোয়াড়দের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে নেওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন ক্লাবও নিতে পারবে।
২০১৩ সালে ডেনমার্কপ্রবাসী জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে শুরু। এর পর কেটে যায় অনেক বছর। দ্বিতীয় প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে খেলেছিলেন তারিক রায়হান কাজী। একে একে সৈয়দ কাজেম শাহর মতো আরও কয়েক প্রবাসী গায়ে তোলেন লাল-সবুজের জার্সি। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী আসার পর প্রবাসীদের জোয়ার বইতে শুরু করে।
শমিত সোম, কিউবা মিচেলের পর বাংলাদেশি হওয়ার অপেক্ষায় জায়ান হাকিমও। প্রবাসীদের এমন চাহিদা দেখে বাফুফে এই প্রথম এত বড় আয়োজন করতে যাচ্ছে। ট্রায়ালে সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়েছে যুক্তরাজ্য থেকে। ১৯৬৬ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দেশ থেকে আসছেন ২০ জন। যুক্তরাজ্য থেকে ১৪, সুইডেন থেকে পাঁচ এবং কানাডা থেকে দুই ফুটবলারের আসার কথা। একজন করে আসছেন ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, ওয়েলস, ইতালি, মালয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়া থেকে।
বাফুফের এই ট্রায়ালে বয়স সীমা ১৪ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত। দুই ক্যাটেগারিতে হবে ট্রায়াল। অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সীরা এক গ্রুপে, তাদের চেয়ে বেশি বয়সীরা অন্য গ্রুপে থাকবেন। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটুর নেতৃত্বে ট্রায়ালে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করার জন্য থাকবেন ছাইদ হাসান কানন, একেএম মারুফুল হক, জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু, গোলাম রব্বানী ছোটন, আলফাজ আহমেদ ও মাহবুব হোসেন রক্সি। আর সামগ্রিক ট্রায়াল পর্যবেক্ষণ করবেন জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।
ট্রায়ালকে সামনে রেখে বুধবার রাজধানীর একটি ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নানা দিক তুলে ধরেন বাফুফের সহসভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ‘আমরা ফুটবলকে নানাভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাই চেষ্টা করছি। এই উদ্দেশ্যে ফেডারেশন থেকে কিছু স্ট্যান্ডিং কমিটি করা হয়েছে।
এর বাইরেও কয়েকটা বিশেষায়িত কমিটি করা হয়েছে কর্মসূচি এগিয়ে নিতে। সেই ধরনের একটা কর্মসূচি হচ্ছে বিএফএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার। বিদেশে থাকা যেসব বাংলাদেশি আমাদের দেশের লিগে বা টুর্নামেন্টে খেলতে চান, তাদের আমরা উৎসাহিত করব। তাদের সঙ্গে এতে একটা বন্ধন তৈরি হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এই ক্যাম্পেইন। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জন্যও তাদের ডাকা হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরের ম্যারিনেট গাজা জলসীমা থেকে কত দূরে
দ্য ম্যারিনেট। ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরের নৌযান। নৌযানটি এখনো ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। আজ শুক্রবার আল-জাজিরার অনলাইনে এই তথ্য জানানো হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, একমাত্র দ্য ম্যারিনেটকেই এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। বহরের বাকি নৌযানগুলোকে তারা ইতিমধ্যে আটক করেছে।
দ্য ম্যারিনেট পোল্যান্ডের পতাকাবাহী নৌযান। তবে নৌযানটির মালিকের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য কোনো নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়, দেখুন লাইভ ট্র্যাকারেনৌযানটিতে ছয়জন আরোহী আছেন। এই আরোহীদের মধ্যে একজন তুরস্কের অধিকারকর্মী সিনান আকিলতু। তিনি আজ নৌযানটি থেকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা এখন উচ্চ ঝুঁকির এলাকায় প্রবেশ করেছি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা দুটি মহৎ পরিণতির যেকোনো একটির দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকারের তথ্যের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, আজ ভোরের দিকে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলছিল ম্যারিনেট। এ সময় সূর্যোদয় হচ্ছিল।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, ভোর ৪টার দিকে ম্যারিনেটের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৩ দশমিক ৭৮ নট। (ঘণ্টায় প্রায় ৭ কিলোমিটার)। নৌযানটি গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে প্রায় ৪৩ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ৮০ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুনগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজে জলকামান ব্যবহার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী১৩ ঘণ্টা আগেগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই ম্যারিনেটকে সতর্ক করে দিয়েছে। তারা বলেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবরোধ ভাঙার যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নৌযানটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। তবে তা ঠিক করা হয়েছে। নৌযানটি গাজা অভিমুখে চলছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা জানিয়েছেন, বহরের ৪২টি নৌযানকে অবৈধভাবে আটকানো হয়েছে। আরোহীদের আটক হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও ম্যারিনেট পিছু হটছে না।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইসরায়েল ‘জলদস্যুর কাজ’ করেছে: এরদোয়ান১৪ ঘণ্টা আগেগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বলেছে, ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়, ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।
ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত আছে বলে জানিয়েছে ফ্লোটিলা আয়োজকেরা।
আরও পড়ুনসুমুদ ফ্লোটিলার আটক অধিকারকর্মীরা ২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছতে পারেন২০ ঘণ্টা আগে