গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে রিয়াল
Published: 27th, June 2025 GMT
ফুটবলে কখনো কখনো এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যা দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে থাকে বহুদিন। ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়াল মাদ্রিদ ঠিক তেমনই এক রাত উপহার দিল রেড বুল সালসবুর্ককে হারিয়ে। ৩-০ গোলের জয়ে জাবি আলোনসোর শিষ্যরা গ্রুপ ‘এইচ’-এর শীর্ষে থেকে পৌঁছে গেল শেষ ষোলোয়। যেখানে তাদের সামনে অপেক্ষা করছে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস।
কয়েক ম্যাচ ধরে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা ভিনিসিউস জুনিয়র অবশেষে ফিরলেন নিজের রাজকীয় মেজাজে। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত এক গোল, পরে একটি শৈল্পিক অ্যাসিস্ট; দুইভাবেই ম্যাচে ছাপ রেখে গেলেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। প্রথম গোলটি আসে বেলিংহ্যামের দূরপাল্লার পাস থেকে। একা দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিখুঁত গড়ানো শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ভিনিসিউস।
গোল করেই ক্ষান্ত হননি ভিনিসিউস। গিলেরের পাস ধরে বক্সে ঢুকে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন এবং হঠাৎ এক ব্যাকহিল পাসে বল এগিয়ে দেন ভালভার্দের পায়ে। মিডফিল্ডার ভালভার্দে একটানে নেন শট। আর বল ঠাঁই পায় জালে।
আরো পড়ুন:
ব্রাজিলের ৪টি ক্লাবই নকআউটে, আর্জেন্টিনার সব ক্লাবই গ্রুপপর্বে বিদায়
শেষ নয়, আল-নাসরে নতুন অধ্যায়ের শুরু রোনালদোর
রিয়ালের পক্ষে শুধু গোলদাতারাই নয়, পুরো দলই ছিল ছন্দে। জুদ বেলিংহ্যাম ও চুয়োমেনি মাঝমাঠে রেখে যান ছাপ। আর ডান প্রান্তে অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের কার্যকর ভূমিকাও প্রশংসার দাবি রাখে। ফ্রান গার্সিয়া ও আর্দা গিলেরের সংযুক্তি ফুটবলের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়।
৮৪তম মিনিটে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন গন্সালো গার্সিয়া। অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের বাড়ানো বল ভুলভাবে ক্লিয়ার করতে না পারায় সুযোগ পান গার্সিয়া। সুযোগটিকে সম্পূর্ণ কাজে লাগিয়ে ডান দিক থেকে চমৎকার ফিনিশিংয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ ষোলোয় তাদের মুখোমুখি হচ্ছে জুভেন্টাস।
অপরদিকে, একই দিনে পাচুকাকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়েছে আল-হিলাল। যারা ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে নামবে পরবর্তী রাউন্ডে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সকালে এক গ্লাস নাকি চার গ্লাস পানি পান করা ভালো
সকালে খালি পেটে পানি পান করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়, একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কত গ্লাস পানি পান করা ভালো সে কথা জানেন? সেই প্রসঙ্গে আসছি, তার আগে বলে নেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে পানি পান করলে ঠিক কোন কোন উপকার পাওয়া যায়। অল্প কিছু বিষয় মেনে চললে সকালে খালি পেটে পানি পান করে সুস্থ-সবল থাকার পথে একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। জেনে নিনি বিস্তারিত—
এক. সকালে পানি পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয়। এই অভ্যাস অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। পরিপাকক্রিয়া থেকে সঠিকভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। আর এটা তো জানা কথা, হজমশক্তি ভালো হলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাই দূর হয়।
আরো পড়ুন:
যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস জীবন বদলে দিতে পারে
লিভার ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া কী জরুরি?
দুই. সকালে খালি পেটে পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে। রক্ত থেকে ‘টক্সিন’ বা বিষাক্ত নানা উপাদান দূর করে পানি।নতুন রক্ত কোষ এবং পেশি কোষ জন্মানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
তিন. খালি পেটে পানি পান করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
যেভাবে পুরোপুরি সুফল পাবেন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে পানি পান করার পারেই খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।
মনে রাখবেন, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করেই অনেক উপকার পেতে পারেন। আরও ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন সকালে গড়ে চার গ্লাস পানি (প্রায় এক লিটার) পানি পান করতে পারেন।
প্রথম দিকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে চেষ্টা করলে এটা অনেক কিছুদিনের মধ্যে এই অভ্যাস আয়ত্বে চলে আসবে। এবং এর নানা উপকারিতাও বুঝতে পারবেন।
সূত্র: ওয়েবএমডি
ঢাকা/লিপি