ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক ১২ দিনের সংঘর্ষে নিহত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের স্মরণে তেহরানে বিশাল রাষ্ট্রীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিতে হাজার হাজার শোকাহত মানুষ পতাকা ও ব্যানার হাতে সমবেত হন।

ইরানি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি জানাজা অনুষ্ঠানের ভিডিও সম্প্রচার করে, যেখানে ইরানের লাল, সাদা ও সবুজ জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনগুলোর দিকে ছুটে যাওয়া মানুষের আবেগঘন দৃশ্য দেখা যায়। পটভূমিতে বাজানো হচ্ছিল দেশপ্রেমমূলক সঙ্গীত।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকেও উপস্থিত দেখা যায়, যিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জানাজায় অংশ নেন।

মঞ্চে প্রদর্শিত হয় নিহত কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ছবি, যার মধ্যে ছিলেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।

তাসনিম নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপস্থিত অনেকেই আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি বহন করেন এবং আমেরিকা ও ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দেন।

গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এতে ৬০০-রও বেশি মানুষ নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক।

জবাবে, ইরানের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মহাকাশ শাখা ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩’ এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলে ২২ দফা পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে সেখানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর ২৪ জুন থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হলে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’

প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।

নতুন কুঁড়ির এ ছবিটি অভিনেত্রী শাওন ফেসবুকে শেয়ার করেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ