ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানিদের জানাজা রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত
Published: 28th, June 2025 GMT
ইসরায়েলের সাথে ১২ দিনের সংঘর্ষে নিহত ইরানের সামরিক কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ প্রায় ৬০ জনের জন্য জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তেহরানের এঙ্গেলাব স্কয়ারের কাছে ইরানের পতাকায় মোড়ানো মৃত কমান্ডারদের প্রতিকৃতি সম্বলিত কফিনগুলো জনতা ঘিরে ছিল।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হওয়ার পর যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এই সংঘাতের অবসান ঘটে।
কালো পোশাক পরা শোকাহতদের বিশাল জনতা স্লোগান দিচ্ছিল, ইরানের পতাকা উত্তোলন করেছিল এবং নিহতদের ছবি তুলে ধরেছিলেন।
জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে বাস এবং মেট্রো ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে। সরকারি অফিসগুলো শনিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যাদের সমাহিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাঘেরি যিনি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ছিলেন।
বাঘেরিকে তার স্ত্রী এবং কন্যার সাথে সমাহিত করা হবে। তারাও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানে মোট ৬২৭ জন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলে ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের কমান্ডার-ইন-চিফ হোসেইন সালামি এবং তেহরানের আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচির মতো বেশ কয়েকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানীর জানাজাও শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’
প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।