ইসরায়েলের সাথে ১২ দিনের সংঘর্ষে নিহত ইরানের সামরিক কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ প্রায় ৬০ জনের জন্য জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তেহরানের এঙ্গেলাব স্কয়ারের কাছে ইরানের পতাকায় মোড়ানো মৃত কমান্ডারদের প্রতিকৃতি সম্বলিত কফিনগুলো জনতা ঘিরে ছিল।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হওয়ার পর যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এই সংঘাতের অবসান ঘটে।

কালো পোশাক পরা শোকাহতদের বিশাল জনতা স্লোগান দিচ্ছিল, ইরানের পতাকা উত্তোলন করেছিল এবং নিহতদের ছবি তুলে ধরেছিলেন।

জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে বাস এবং মেট্রো ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে। সরকারি অফিসগুলো শনিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

যাদের সমাহিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাঘেরি যিনি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ছিলেন।

বাঘেরিকে তার স্ত্রী এবং কন্যার সাথে সমাহিত করা হবে। তারাও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে।

ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানে মোট ৬২৭ জন নিহত হয়েছে। 

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলে ২৮ জন নিহত হয়েছেন।

ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের কমান্ডার-ইন-চিফ হোসেইন সালামি এবং তেহরানের আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচির মতো বেশ কয়েকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানীর জানাজাও শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ