ইসির সক্ষমতা যাচাইয়ে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিকল্প নেই: জামায়াত আমির
Published: 28th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের ঘোষিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন রয়েছে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাছাইয়ের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি কার্যকর উদ্যোগ।’
তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি না থাকায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠাগুলোতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসক দিয়ে দায়িত্ব পালন করায় সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই জনদুর্ভোগ লাঘব ও নিবাচন কমিশনের সক্ষমতা যাছাইয়ে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিকল্প নেই।’
তিনি শুক্রবার রাতে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত রুকন শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও সিলেট-১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী, জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর নায়েবে আমীর ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম জ ম য় ত আম র স থ ন য় সরক র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যায় প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে সরকার: আইন উপদেষ্টা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়কে ন্যায় প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে এ দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবারও চিঠি দেবে সরকার।
আজ সোমবার রায়ের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। আজকে বাংলাদেশের মাটিতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা ঘটেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে শত শত মানুষের মৃত্যু, হাজার হাজার মানুষের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা, অঙ্গহানির ঘটনা, বিকলাঙ্গ হওয়ার ঘটনার জন্য যে নৃশংস খুনি দায়ী ছিলেন, আজকে সেই শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। তাঁর প্রধান সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। আমি মনে করি, আজকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আরেকটি বিজয়ের দিন।’
এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের স্মরণ করেন আইন উপদেষ্টা। একইসঙ্গে শোকসন্তব্য পরিবারগুলোর কথাও মনে করেন তিনি।
ব্যক্তিগতভাবে এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি (রায়ে) বিস্মিত না, শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের মানবতাবিরোধী অপরাধের যে তাজা, অকাট্য ও জোরালো প্রমাণ রয়েছে, তাতে পৃথিবীর যেকোনো আদালতে বিচার হলে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার কথা।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আজকে আরেকটি কথা বলতে চাই, সেটা হচ্ছে আমরা শেখ হাসিনাকে এ দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবার চিঠি লিখব। ভারত যদি এই গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে একটা শত্রুতা, একটা অত্যন্ত নিন্দনীয় আচরণ।’