ক্লাব বিশ্বকাপে ফুটবলারদের জোর করে খেলানোর অভিযোগ রাফিনিয়ার
Published: 28th, June 2025 GMT
ক্লাব বিশ্বকাপে যে দলগুলোর শূন্যতা অনুভূত হচ্ছে, বার্সেলোনা তাদের অন্যতম। বার্সেলোনার অনুপস্থিতি মানে ক্লাব বিশ্বকাপে লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়া কিংবা রবার্ট লেভানডফস্কিদের খেলা দেখার সুযোগ না পাওয়া। বিশেষ করে গত মৌসুমে বার্সার পারফরম্যান্স সমর্থকদের আক্ষেপ যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে বার্সার ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়ার ভাবনা একেবারেই ভিন্ন। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, সাও পাওলোয় কাল এক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন রাফিনিয়া।
ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার চেয়ে খেলোয়াড়দের ছুটি কাটানো তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর দাবি, ছুটি বাতিল করে খেলতে বাধ্য হচ্ছেন ফুটবলাররা; পাশাপাশি টুর্নামেন্টে নিজ দেশ ব্রাজিলের ক্লাবগুলোর পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন রাফিনিয়া।
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ‘সেঞ্চুরি’, ৪৪ বছর বয়সী গোলকিপার, বিশ্বকাপজয়ী ২৬—সংখ্যায় ক্লাব বিশ্বকাপ১২ জুন ২০২৫মৌসুম শেষ করার পর সাধারণত জুন–জুলাই মাসের এই সময়টা ফুটবলাররা অবকাশ যাপন করেন এবং পরের মৌসুমের প্রস্তুতি ননেন। কিন্তু এ সময়েই এখন অনেক খেলোয়াড়কে ক্লাব বিশ্বকাপে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। রাফিনিয়ার কাছে বিষয়টি ফুটবলারদের অধিকার লঙ্ঘনের মতোই মনে হচ্ছে।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর প্রশংসা করেছেন রাফিনিয়া.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প ফ টবল টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাজিলের ৪টি ক্লাবই নকআউটে, আর্জেন্টিনার সব ক্লাবই গ্রুপপর্বে বি
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ-২০২৫ এ দক্ষিণ আমেরিকার দুই ফুটবল পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স যেন দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে। যেখানে ব্রাজিলের চারটি ক্লাব— ফ্ল্যামেঙ্গো, পালমেইরাস, বোতাফোগো ও ফ্লুমিনেন্স; দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে। সেখানে আর্জেন্টিনার দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বোকা জুনিয়র্স ও রিভার প্লেট গ্রুপপর্বেই বিদায় নিয়েছে।
শেষ ষোলোতে পালমেইরাস ও বোতাফোগো মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে অন্তত একটি ব্রাজিলিয়ান ক্লাব কোয়ার্টার ফাইনালে নিশ্চিত। অন্যদিকে ফ্ল্যামেঙ্গো খেলবে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। আর ফ্লুমিনেন্স লড়বে ইন্টার মিলানের সঙ্গে।
চলুন ক্লাবগুলোর গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্সে চোখ বুলানো যাক—
আরো পড়ুন:
শেষ নয়, আল-নাসরে নতুন অধ্যায়ের শুরু রোনালদোর
কষ্টের জয়ে শেষ ষোলোতে ইন্টার, বরুসিয়াও নকআউট পর্বে
ব্রাজিলের চার ক্লাব: দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা
১. ফ্ল্যামেঙ্গো (গ্রুপ ডি):
ম্যাচ ১: ফ্ল্যামেঙ্গো ৩–১ চেলসি।
ম্যাচ ২: ফ্ল্যামেঙ্গো ২–০ এস্পেরঁস (তিউনিসিয়া)।
ম্যাচ ৩: ফ্ল্যামেঙ্গো ১–১ এলএএফসি।
পয়েন্ট টেবিল: ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: জর্জিয়ান ডি আরাস্কায়েতা (২টি ম্যাচে ম্যাচসেরা)।
২. পালমেইরাস (গ্রুপ এ):
ম্যাচ ১: পালমেইরাস ০–০ পোর্তো।
ম্যাচ ২: পালমেইরাস ২–০ আল আহলি।
ম্যাচ ৩: পালমেইরাস ২–২ ইন্টার মায়ামি।
পয়েন্ট টেবিল: ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: “মেসিনহো” নামে পরিচিত তরুণ এস্তেভাও উইলিয়ান (১টি ম্যাচে ম্যাচসেরা)।
৩. বোতাফোগো (গ্রুপ বি):
ম্যাচ ১: বোতাফোগো ২–১ সিয়াটল সাউন্ডার্স।
ম্যাচ ২: বোতাফোগো ১–০ পিএসজি।
ম্যাচ ৩: বোতাফোগো ০–১ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
পয়েন্ট টেবিল: ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার-আপ।
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: ইগর জেসুস (২টি ম্যাচে ম্যাচসেরা)।
৪. ফ্লুমিনেন্স (গ্রুপ এফ):
ম্যাচ ১: ফ্লুমিনেন্স ১–১ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
ম্যাচ ২: ফ্লুমিনেন্স ২–০ উলসান এইচডি।
ম্যাচ ৩: ফ্লুমিনেন্স ১–০ মামেলোডি সানডাউন্স।
পয়েন্ট টেবিল: ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: জন আরিয়াস (ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচসেরা)।
আর্জেন্টিনার দুই ক্লাব: হতাশাজনক বিদায়
১. রিভার প্লেট (গ্রুপ ই):
ম্যাচ ১: রিভার প্লেট ১–১ উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস।
ম্যাচ ২: রিভার প্লেট ০–২ মন্টেররে।
ম্যাচ ৩: রিভার প্লেট ০–২ ইন্টার মিলান।
পয়েন্ট টেবিল: ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে চতুর্থ।
২. বোকা জুনিয়র্স (গ্রুপ সি):
ম্যাচ ১: বোকা জুনিয়র্স ০–৩ বায়ার্ন মিউনিখ।
ম্যাচ ২: বোকা জুনিয়র্স ১–১ বেনফিকা।
ম্যাচ ৩: বোকা জুনিয়র্স ০–১ অকল্যান্ড সিটি।
পয়েন্ট টেবিল: ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয়।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো সম্মিলিতভাবে ১৪ গোল করেছে, খেয়েছে মাত্র ৪টি এবং কেউই হারেনি গ্রুপপর্বে। আর্জেন্টিনার ক্লাবগুলো মাত্র ২ গোল করেছে, খেয়েছে ৭টি এবং কেউ-ই জয় পায়নি। এই পারফরম্যান্স প্রমাণ করে, দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলে ব্রাজিলের আধিপত্য এখনো অটুট এবং তারা ইউরোপীয় জায়ান্টদের জন্যও বড় হুমকি হয়ে উঠছে।
ক্লাব বিশ্বকাপে ভালো করার পেছনের কারণ:
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো তাদের মিড-সিজন ফর্ম ও উচ্চ তাপমাত্রায় খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে। যেখানে ইউরোপীয় ও আর্জেন্টাইন ক্লাবগুলো ছিল অফ-সিজনে। এখন দেখার বিষয় নকআউটপর্বে তারা কেমন কী করে।
ঢাকা/আমিনুল