ক্লাব বিশ্বকাপে যে দলগুলোর শূন্যতা অনুভূত হচ্ছে, বার্সেলোনা তাদের অন্যতম। বার্সেলোনার অনুপস্থিতি মানে ক্লাব বিশ্বকাপে লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়া কিংবা রবার্ট লেভানডফস্কিদের খেলা দেখার সুযোগ না পাওয়া। বিশেষ করে গত মৌসুমে বার্সার পারফরম্যান্স সমর্থকদের আক্ষেপ যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে বার্সার ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়ার ভাবনা একেবারেই ভিন্ন। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, সাও পাওলোয় কাল এক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন রাফিনিয়া।

ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার চেয়ে খেলোয়াড়দের ছুটি কাটানো তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর দাবি, ছুটি বাতিল করে খেলতে বাধ্য হচ্ছেন ফুটবলাররা; পাশাপাশি টুর্নামেন্টে নিজ দেশ ব্রাজিলের ক্লাবগুলোর পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন রাফিনিয়া।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ‘সেঞ্চুরি’, ৪৪ বছর বয়সী গোলকিপার, বিশ্বকাপজয়ী ২৬—সংখ্যায় ক্লাব বিশ্বকাপ১২ জুন ২০২৫

মৌসুম শেষ করার পর সাধারণত জুন–জুলাই মাসের এই সময়টা ফুটবলাররা অবকাশ যাপন করেন এবং পরের মৌসুমের প্রস্তুতি ননেন। কিন্তু এ সময়েই এখন অনেক খেলোয়াড়কে ক্লাব বিশ্বকাপে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। রাফিনিয়ার কাছে বিষয়টি ফুটবলারদের অধিকার লঙ্ঘনের মতোই মনে হচ্ছে।

ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর প্রশংসা করেছেন রাফিনিয়া.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প ফ টবল টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ