‘এটা ফুটবল নয়, ফাজলামি’, জিতেও চেলসি কোচের ক্ষোভ
Published: 29th, June 2025 GMT
ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে বেনফিকাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি। ছোট এই বাক্যের মতো চেলসির জয় সহজ ছিল না, সহজে ম্যাচটিও শেষ হয়নি। নির্ধারিত সময়ের খেলা মাত্র ৫ মিনিট বাকি ছিল। এরপর বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল ম্যাচ।
শনিবার রাতে ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে ৬৪ মিনিটে রিচ জেমসের গোলে ১-০ গোলের লিড নেয় চেলসি। খেলা শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে বৈকি আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে খেলা বন্ধ রাখা হয়। ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট পরে পুনরায় শুরু হয় ম্যাচ।
নির্ধারিত সময়ের যোগ করা সময়ে বিতর্কিত পেনাল্টি পায় বেনফিকা। ডি মারিয়ার গোলে ১-১ গোলে সমতা হয় ম্যাচ। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানে ক্রিস্টোফার এনকুনকু ১০৮ মিনিটে চেলসিকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন। পরেই গোল করেন পেদ্রো নেতো ও কিয়েরনান হল।
ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা ক্ষোভ ঝেড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ক্লাব বিশ্বকাপ তো বটেই ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত ওই প্রশ্নও তুলেছেন। কারণ বৈরি আবহাওয়া ও ফ্লাইট বিলম্বের কারণে এরই মধ্যে আটটি ম্যাচ এমন স্থগিত হয়ে বিলম্বে শুরু ও শেষ হতে দেখা গেছে।
মারেস্কা বলেন, ‘৮৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বিরতির পর ম্যাচ পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল। আমার দৃষ্টিতে এটা ফুটবল নয়, এরই মধ্যে আট-নয়টি ম্যাচ স্থগিত হয়েছে, সূচি বিপর্যয় হয়েছে। সত্যি বলতে এটাকে ফুটবল নয় ফাজলামি মনে হচ্ছে।’
মারেস্কা বলেন, ‘নিরাপত্তা জনিত কারণে একটা ম্যাচ স্থগিত বা বিলম্ব হলে একটা কথা ছিল। কিন্তু যখন আট-নয়টা ম্যাচের সঙ্গে এমন হচ্ছে এর অর্থে আয়োজকরা এমন টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত না। টুর্নামেন্টে একটার পর একটা ম্যাচ স্থগিত করে দিলে তা আর ফুটবল থাকে না।’
এটাকে ফুটবল না বলার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন চেলসির কোচ মারেস্কা। বেনফিকার বিপক্ষে ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পর খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে অবস্থান নিতে বলা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ড্রেসিংরুমে আবদ্ধ থাকার কারণে খেলোয়াড়রা হাতে ফোন নিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন, সোস্যাল মিডিয়া দেখেছেন, ভারি খাবার খেয়েছেন, গল্প আড্ডায় মেতেছেন। অথচ সাধারণ কোন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেও খেলোয়াড়রা এগুলো করেন না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ লস ক ল ব ব শ বক প ফ টবল ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে