ক্লাব বদল হলেও স্মৃতি বদলায় না। আর স্মৃতি যদি হয় প্যারিসের মতো শহরের, তা হলে তো প্রশ্ন আরও জটিল। আজ রাতেই সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে ফুটবল বিশ্ব, যখন লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি মুখোমুখি হবে তার পুরনো ক্লাব পিএসজি’র।

বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় যুক্তরাষ্ট্রের মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আলোচিত এই লড়াই। মেসির সামনে এবার শুধু প্রতিপক্ষ নয়, পুরনো পরিচিত মুখগুলোর ছায়াও।

মায়ামির কোচ জাভিয়ের মাশচেরানো এক সময় বার্সেলোনায় ছিলেন লুইস এনরিকের শিষ্য। আজ তারই বিপক্ষে নামছেন কোচ হিসেবে। এনরিকে এখন পিএসজির দায়িত্বে। আর মেসির তো পুরো পিএসজি অধ্যায়টাই ছিল অনেকটা বিস্বাদে ভরা, যার অবসান ঘটে ২০২৩ সালের আগে।

আরো পড়ুন:

চার বছরের অপেক্ষার অবসান: বার্সার কাছ থেকে বকেয়া পাচ্ছেন মেসি

ঝড়, পেনাল্টি, অতিরিক্ত সময়- সব পেরিয়ে চেলসি শেষ আটে

এই ম্যাচটা তাই শুধু ১৬-রাউন্ড নয়, বরং এক ব্যক্তিগত পুনর্মিলনের নাট্যশালা।

পিএসজির ভরসা এখন তরুণ প্রজন্ম— দিজিরে দুয়ে, বারকোলা আর প্রতিভাবানদের কাঁধে আস্থার ভার। অন্যদিকে মায়ামি যেন এক দল ‘বার্সেলোনা নস্টালজিয়া’। মেসি, সুয়ারেজ, বুসকেটস, জর্ডি আলবা— যাদের চিনে রেখেছেন এনরিক। যারা জানেন কীভাবে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে হয়।

পিএসজি কোচ এনরিক ম্যাচপূর্ব সাক্ষাৎকারে বলেন, “মেসি সবসময় বলের সঙ্গে জাদুকর। আর বাকি সাবেকরা এখনও আগের মতোই শার্প। ওদের বিপক্ষে খেলাটা সহজ হবে না।”

মাশচেরানোর কথা আরও সাবধানী, “তারা কে, কী করেছে, সেটা নয়; আমরা কিভাবে খেলি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে কোনো কিছু আগেই বলা যায় না।”

ক্লাব বিশ্বকাপে এখনও অপরাজিত ইন্টার মায়ামি। গ্রুপপর্বে এক জয় ও দুই ড্র নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে। মেসিও এই টুর্নামেন্টে আনবিটেন থাকার রেকর্ড ধরে রাখতে চাইবেন। যদিও মায়ামির বড় সুবিধা উসমান দেম্বেলে ইনজুরির কারণে আজকের ম্যাচে খেলছেন না।

মেসির জন্য আজকের ম্যাচ নিছক ৯০ মিনিটের খেলা নয়, এটা একটা অধ্যায়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নতুন গল্প রচনা করার মুহূর্ত। মাঠে যেমন থাকবে কৌশলের লড়াই, তেমনি আবেগ, ইতিহাস আর প্রত্যাশার ভারও।

কে জিতবে? মায়ামির অভিজ্ঞতা নাকি পিএসজির তরুণ বিদ্যুৎ? আজ রাতেই হবে সেই মীমাংসা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল প এসজ এনর ক

এছাড়াও পড়ুন:

যুগোপযোগী করা হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম, আগামী বছরই চালু

মাধ্যমিক স্তরের চলমান শিক্ষাক্রম আরও যুগোপযোগী করে আগামী বছর থেকে নতুনভাবে চালু করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন এ শিক্ষাক্রমে অভিজ্ঞতালব্ধ, জ্ঞাননির্ভর ও বাস্তবসম্মত পাঠদান হবে। মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণিতে প্রথমে এটি চালু হবে। পরে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ২৫ জুন এ নিয়ে এনসিটিবিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। 

এনসিটিবি সূত্র জানায়, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হবে– এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বা কোন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন কারিকুলাম তৈরি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলমান। চলতি মাসে কারিকুলাম বিষয়ে কর্মশালা হওয়ার কথা ছিল। সেটি পিছিয়ে আগামী জুলাইয়ে করা হবে বলেও জানান এনসিটিবি কর্মকর্তারা।

এনসিটিবির সচিব সাহতাব উদ্দিন সমকালকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই-বাছাই করে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকেই। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও পরে ক্রম অনুসারে অন্য শ্রেণিতে তা চালু করা হবে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাতবার শিক্ষাক্রম বা শিক্ষাপদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। প্রথম পাঁচবার শিক্ষাক্রমের মূল থিম ঠিক রেখে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে বড়সড়ো পরিবর্তন আনা হয়। সে বারের শিক্ষাক্রমটি ‘সৃজনশীল পদ্ধতি’ নামে পরিচিত। এ পদ্ধতি প্রণয়নের ৯ বছরের মাথায় ২০২১ সালে আবারও নতুন একটি শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুমোদন করা হয়।

সেই রূপরেখা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তখন বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক শিখনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এ শিক্ষাক্রম। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে হাতে-কলমে শেখানো হবে।

অভিভাবকরা সেই শিক্ষাক্রম স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করতে পারেননি। তাদের অভিযোগ ছিল, এমন শিক্ষাক্রমের কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। শিক্ষাক্রম বাতিলে টানা আন্দোলনও হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতন হলে একই মাসের শেষ দিকে বাতিল করা হয় সেই শিক্ষাক্রম। ফিরিয়ে আনা হয় ২০১২ সালে প্রণীত আলোচিত সৃজনশীল শিক্ষাক্রম।

এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের শিক্ষাক্রম নিয়ে বিতর্ক থাকলেও কিছু বিষয় ছিল, যা ছিল সময়োপযোগী। নতুন যে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হবে, সেখানে ২০২৩ ও ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের অনেক বিষয় থাকবে। ২০২৭ সালে চালু হওয়া শিক্ষাক্রম কেমন হবে, তা নির্ভর করবে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত রাজনৈতিক সরকারের প্রত্যাশার ওপর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩৩৬ কোটি টাকার পথে চলে না ট্রেন
  • চার বছরের অপেক্ষার অবসান: বার্সার কাছ থেকে বকেয়া পাচ্ছেন মেসি
  • প্রথমবার চঞ্চলের সঙ্গে জুটি হচ্ছেন ঋতুপর্ণা
  • চঞ্চল চৌধুরী বললেন, কথা চলছে কিন্তু চূড়ান্ত হয়নি
  • কয়েক মাসের মধ্যেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ প্রধান
  • যুগোপযোগী করা হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম, আগামী বছরই চালু
  • ‘রিভার্স ব্রেইন ড্রেন’ কি আর ঘটবে?
  • যৌনপল্লি থেকে নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
  • নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচার