Prothomalo:
2025-11-17@04:47:41 GMT

ঝুলে থাকে জল, থাকে বর্ষাতি

Published: 29th, June 2025 GMT

নামফলকের খুব পাশে, ঘাসে ঘাসে ঢেকে থাকা দেহ

কেহ তাতে ছিটাবে না জল, অতল সমুদ্র তার নিবে না খবর

কবর ভিজবে তবু হায় কাদায় গড়াবে প্রিয় পানি

জানি আষাঢ়ের। জানি, কোনো ভাই, নাই হয়ে গেলে এই জুনে

খুনে ও ক্ষমায় একাকার; কার চিহ্নের মতো ঝুলবে তার

বর্ষার বর্ষাতি রোজ ঘরে, কবরে ঝুলবে রে আষাঢ়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভূমিকম্প প্রতিরোধী স্থাপনায় গুরুত্ব দিন 

ভূমিকম্প প্রতিরোধে গুণগত মানসম্পন্ন ইস্পাতের ব্যবহার বাড়াতে হবে। উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি ইস্পাতের পরিবর্তে নিম্নমানের ইস্পাত ব্যবহার করলে ভূমিকম্পের সময় ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল রোববার কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে জিপিএইচ ইস্পাতের সহযোগিতায় প্রথম আলো আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বক্তারা।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রাকিব আহসান বলেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন তৈরি করতে গেলে ম্যাটেরিয়াল (উপাদান) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের সময় নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়েছে, সেখানে নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে।

রাকিব আহসান মানসম্পন্ন ইস্পাতের ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো ভালো মানের রড তৈরি করছে। বিএসটিআই প্রণীত যে স্ট্যান্ডার্ড আর আমাদের ডিজাইন কোডের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা আছে। বিএসটিআই যে নতুন স্ট্রেংথ গ্রেডের রডের স্পেসিফিকেশন দিয়েছে, তা আমাদের বিল্ডিং কোডে এখনো অন্তর্ভুক্ত বা রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ নেই। এ জন্য বিল্ডিং কোডের হালনাগাদকরণ দরকার।’

আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যে রি–বারগুলো এসেছে, সেগুলো অন্যান্য দেশের আপডেটেড বিল্ডিং কোডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে রাকিব আহসান বলেন, ভূমিকম্পের সময় ইস্পাতের ডাক্টিলিটি (নমনীয়তা) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকম্পের সময় ইস্পাত যত বেশি সম্প্রসারিত হতে পারে, তত ভালো। ভবনের যে অংশগুলো আর্থকোয়াক ফোর্সটা নেয় (ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি যে অংশে বেশি পড়ে) সেগুলো হলো কলাম, বিম। এখানে ব্যবহৃত রডের শ্রেণি হতে হবে ডাক্টিলিটি–ডি। এ ক্লাসটা সবচেয়ে বেশি আর্থকোয়াক ফোর্স নিতে পারে।

বুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের অধ্যাপক ইশরাত ইসলাম বলেন, ‘ভবন নির্মাণ করার সময় খরচ বাঁচানোর চেষ্টায় নির্মাণসামগ্রীর মান নিম্নগামী হয়। ময়মনসিংহ শহরে আমরা ১২টি ভবন স্টাডি করে দেখেছি, তার মধ্যে ১১টি ভবন মান যাচাইয়ে ব্যর্থ। প্রচুর ভবন ওখানে ঝুঁকির মধ্যে আছে।’

বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন করার মতো কোনো মেকানিজম আমাদের এখনো তৈরি হয়নি জানিয়ে ইশরাত ইসলাম বলেন, ‘এটা যত দিন না তৈরি হবে, তত দিন আমরা মানসম্পন্ন ভবন নিশ্চিত করতে পারব না।’

বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ফখরুল আমিন বলেন, যাঁর ভবন তাঁর দায়িত্ব বেশি। তাঁকে দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারের পরিকল্পনা ও জনগণের ধারণার মধ্যে যে দূরত্ব আছে, সেটি কমাতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, অন্যান্য সংকট মোকাবিলায় সরকার যে ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকে, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রেও একই প্রস্তুতি সরকার নিয়েছে। ভবন নির্মাণ বিধিমালা ও অন্যান্য যেসব নীতি রয়েছে, তা সবাইকে মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।

'বাংলাদেশে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ