ইয়াংগুনে এএফসি উইমেন’স এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ ‘সি’তে ২ জুলাই স্বাগিতক মিয়ানমারের মুখোমুখি হবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। 

র‌্যাঙ্কিংয়ে বাহরাইন বেশ এগিয়ে। তাদের বিরুদ্ধে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে ঋতুপর্না চাকমা–শামসুন্নাহাররা। ১২৮ নাম্বারে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো বিভাগেই পেরে ওঠেনি ৯২তম স্থানে থাকা বাহরাইন।

ম্যাচের ১০ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র দলকে প্রথম এগিয়ে নেন। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের লম্বা ক্রস দারুণ দক্ষতায় নিয়ন্ত্রনে নিয়ে চোখে লেগে থাকার মতো গোল করেন তিনি। বাঁ পায়ের চিপ শটে জালে পাঠান বল। 

এরপর ১৬ মিনিটে ঋতুপর্না চাকমার গোলটিও দেখার মতো ছিল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে করা সেই গোলটির রিপ্লে দেখান তিনি। ৪০ মিনিটে লিড ৩-০ করে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তহুরার জোড়া গোলে ৫-০ গোলে শেষ করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধে বাহরাইন কিছুটা গোছানো ফুটবল খেলতে শুরু করলেও ৬০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে দলটি। ৭৪ মিনিটে দুর্দান্ত গতিতে বল নিয়ে বাহরাইনের বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন মুনকি আক্তার। শেষ দিকে অফসাইডের কারণে বাতিল না হলে ৮-০ ব্যবধানের জয় হতে পারতো।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এএফস ন র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে ‘উৎসব’–এ মেতেছেন প্রবাসীরা

প্রবাসে দেশি সিনেমা দেখাটা একধরনের সামাজিক উৎসবের মতো। অস্ট্রেলিয়ায় সেই উৎসবেই মেতেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। উৎসবের আবহে সিডনির অবার্নের রিডিং সিনেমায় তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ দেখতে সপরিবার ভিড় করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ।

রিডিং সিনেমায় ছবিটির প্রদর্শনী ছিল হাউসফুল। দর্শকের ভালোবাসা দেখে বাড়ানো হয়েছে আরও অনেক শো। অস্ট্রেলিয়ায় ছবিটি পরিবেশন করছে ‘পথ প্রোডাকশনস’। পরিবেশক শাওন অরিজিৎ খুশি, ‘সিডনি, মেলবোর্নের দর্শকদের সাড়া দেখে অভিভূত। এখন পার্থ, ক্যানবেরা, ব্রিসবেনে যাচ্ছে উৎসব। ১৫ জুলাই থেকে নিউজিল্যান্ডেও দেখানো হবে।’

আরও পড়ুনউত্তর আমেরিকায় রেকর্ড, কত আয় করল ‘উৎসব’২৮ জুন ২০২৫

ব্ল্যাকটাউন হাসপাতালের চিকিৎসক সোনিয়া ভট্টাচার্য বললেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, এত দিন পর একটা সিনেমা দেখে মনটা ভরে গেল। আমাদের মায়ের প্রজন্ম, আমাদের প্রজন্ম এবং আমার মেয়ের প্রজন্ম—সবাই একসঙ্গে বসে দেখলাম, একসঙ্গে হাসলাম, কাঁদলাম। চিকিৎসক জীবনের ব্যস্ততা, জীবনযাত্রার গতি—সবকিছুর বাইরে এসে যেন একটুখানি শ্বাস ফেলার মতো সুযোগ পেলাম।’

শো শুরু হওয়ার আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ