খুলনায় ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের জুলাই-আগস্ট স্মৃতিকে স্মরণে রাখতে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ আটটি সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আজ সোমবার (৩০ জুন) খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো যোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল শাফিন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত বীরদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বলা হয়, ‘‘যারা বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেদিলেন, তাদের আত্মত্যাগের বিনিমবে আজ আমরা সমাজের প্রতিটি ঘরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছি।’’

আরো পড়ুন:

জুলাই আন্দোলন নিয়ে ছাত্রশিবিরের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি

‘কেএমপি কমিশনারের পতদ্যাগ দাবির যৌক্তিকতা নেই’ 

সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ৩৬ দিনের কর্মপরিকল্পনা পেশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন; শহীদদের জন্য  স্মরণসভা ও দোয়া প্রার্থনা; রক্তদান ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ক্যাম্প; রাজনৈতিক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন; স্কুল-কলেজে রচনা, কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা; শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জুলাই বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, পথ নাটক, শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী ও জুলাই প্রদর্শনী; শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি; ট্রাশান শো; মঞ্চ নাটক ও গান, কবিতা পরিবেশনা; জুলাই স্মৃতি স্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন; গ্রাফিতি সংরক্ষণ কর্মসূচি; টেরাকোটার মাধ্যমে স্মৃতি সংরক্ষণ; কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বিতর্ক প্রতিযোগিতা; জনতার শপথ কর্মসূচি; এক ক্লিকে প্রতিবাদ (ফটো ক্যাম্পেইন); জুলাই শিক্ষা সপ্তাহ-স্কুল কলেজে সচেতনতামূলক কর্মসূচি; আদর্শ জেলা খুলনা-প্রচারণা ক্যাম্পেইন; ছাত্র যুব সম্মেলন; সচিত্র প্রদর্শনী জুলাই থেকে জেগে ওঠা; গণ শুনানি- আহত ও নিপীড়িতদের কণ্ঠে ইতিহাস; জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ, বিচার চাই, রাজনীতিকরণ নয় কর্মসূচি ও মাসব্যাপী পোস্টারিং, পথনাটক ও দেয়ালিকা প্রদর্শন।

সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবের অগ্নিগর্ভ থেকে গড়ে ওঠা জুলাইভিত্তিক সংগঠন- বৈষম্যবিরোধী বিরোধী আন্দোলন, রেড জুলাই, জুলাই রেভ্যুলেশমারী এলায়েনস, জাস্টিস ফর জুলাই, ইনকিলাব মঞ্চ, আপ বাংলাদেশ, রঙমশাল ও পুসাবের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৩৬ দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে আলোচিত পাঁচ বই

প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে বহু জীবনী, উপন্যাস ও স্মৃতিগ্রন্থ লেখা হয়েছে। তাঁর চরিত্রটি তো শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এমনকি অস্তিত্বগত প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। তাঁর জীবন এবং চারপাশে তৈরি হওয়া গল্পগুলো যেন একেকটি ‘মিথ’। তার দুখী দুখী চোখ, মানবিক ও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের কল্পনার অংশ। ডায়ানার জীবন ও চরিত্র এতটাই জটিল আর বহুমাত্রিক যে বিভিন্ন লেখক একেক দৃষ্টিতে সেসব তাঁদের লেখায় হাজির করেছেন। কেউ তাঁকে ট্র্যাজিক চরিত্র, কেউ আত্মবিপর্যস্ত নারী, কেউবা মিডিয়া আইকন ও ভুক্তভোগী, কেউ আবার অন্তরঙ্গ সেবকের দৃষ্টিতে কিংবা পালিয়ে যাওয়া নারীর প্রতীকরূপে ডায়ানাকে তুলে এনেছেন তাদের লেখায়।

অ্যান্ড্রু মরটনের ডায়ানা: হার ট্রু স্টোরি—ইন হার ওন ওয়ার্ডস

ডায়ানাকে নিয়ে লেখা সবচেয়ে আলোচিত বই। প্রথম সংস্করণে জাঁকজমকপূর্ণ রাজকীয় জীবনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাজকন্যা ডায়ানার নিঃসঙ্গতা এবং ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরমহলের নানা গোপনীয়তা, তাঁর সাংসারিক জীবনের নিগূঢ় বাস্তবতা উঠে আসে। রাজপরিবারের এসব দুর্ভেদ্য তথ্য উঠে আসায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

অ্যান্ড্রু মরটন

সম্পর্কিত নিবন্ধ