আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমে মঙ্গলবার থেকে সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) শুধুমাত্র অনলাইনে ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও সহজ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এনবিআর বলছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সময় ও ব্যয় কমবে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে। এতে সরকারি কাজের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতির সুযোগও কমবে এবং বাণিজ্য পরিবেশে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা সহজ হবে।

‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ (বিএসডব্লিউ) একটি ওয়ান-স্টপ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে একজন আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক পণ্য খালাসে প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট, সংক্ষেপে সিএলপি অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা সংগ্রহ করতে পারবেন। আবেদন করার আগে ব্যবসায়ীদের অবশ্যই ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর বা পিন ব্যবহার করে bswnbr.

gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে।

এনবিআর জানিয়েছে, এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ১৯টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ইস্যুকৃত সিএলপি একসঙ্গে অনলাইনে দাখিল ও যাচাই সম্ভব হচ্ছে। ফলে আর কোনো কাগজপত্র হাতে বহন করতে হবে না কিংবা অফিসে ঘুরতে হবে না।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানিয়েছে, ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্ম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইস্যুকৃত সিএলপির সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ১৫টি। এর মধ্যে ৮৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে এক ঘণ্টার কম সময়ে। এছাড়া আর ৯৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ হয়েছে একদিনের কম সময়ের মধ্যে।

আমদানি বা রপ্তানির জন্য যে ১৯টি সংস্থার সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট নিতে হয়, সেগুলো হলো- ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বা ডিজিডিএ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবি, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন, বেজা, বেপজা, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ,  সিভিল এভিয়েশন, বিটিআইসি, মৎস অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, পিডব্লিউডি, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিজিএমইর, বিকেএমইএ এবং আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। এ সংস্থাগুলোর ইস্যুকৃত সকল সিএলপি এখন থেকে বিএসডব্লিউর মাধ্যমেই দাখিল করতে হবে। অন্য কোনো পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে না।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে জড়িত সব পক্ষকে বিএসডব্লিউ ব্যবহারে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রয়োজনে ১৬১৩৯ নম্বরে কল সেন্টার হটলাইনে ফোন করে বা www.bswnbr.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনব আর প ল য টফর ম আমদ ন স এলপ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরের ম্যারিনেট গাজা জলসীমা থেকে কত দূরে

দ্য ম্যারিনেট। ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরের নৌযান। নৌযানটি এখনো ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। আজ শুক্রবার আল-জাজিরার অনলাইনে এই তথ্য জানানো হয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, একমাত্র দ্য ম্যারিনেটকেই এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। বহরের বাকি নৌযানগুলোকে তারা ইতিমধ্যে আটক করেছে।

দ্য ম্যারিনেট পোল্যান্ডের পতাকাবাহী নৌযান। তবে নৌযানটির মালিকের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য কোনো নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়, দেখুন লাইভ ট্র্যাকারে

নৌযানটিতে ছয়জন আরোহী আছেন। এই আরোহীদের মধ্যে একজন তুরস্কের অধিকারকর্মী সিনান আকিলতু। তিনি আজ নৌযানটি থেকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা এখন উচ্চ ঝুঁকির এলাকায় প্রবেশ করেছি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা দুটি মহৎ পরিণতির যেকোনো একটির দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকারের তথ্যের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, আজ ভোরের দিকে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলছিল ম্যারিনেট। এ সময় সূর্যোদয় হচ্ছিল।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, ভোর ৪টার দিকে ম্যারিনেটের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৩ দশমিক ৭৮ নট। (ঘণ্টায় প্রায় ৭ কিলোমিটার)। নৌযানটি গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে প্রায় ৪৩ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ৮০ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছিল।

আরও পড়ুনগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজে জলকামান ব্যবহার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী১৩ ঘণ্টা আগেগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করেছে ইসরায়েল

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই ম্যারিনেটকে সতর্ক করে দিয়েছে। তারা বলেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবরোধ ভাঙার যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নৌযানটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। তবে তা ঠিক করা হয়েছে। নৌযানটি গাজা অভিমুখে চলছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা জানিয়েছেন, বহরের ৪২টি নৌযানকে অবৈধভাবে আটকানো হয়েছে। আরোহীদের আটক হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও ম্যারিনেট পিছু হটছে না।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইসরায়েল ‘জলদস্যুর কাজ’ করেছে: এরদোয়ান১৪ ঘণ্টা আগে

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বলেছে, ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়, ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।

ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত আছে বলে জানিয়েছে ফ্লোটিলা আয়োজকেরা।

আরও পড়ুনসুমুদ ফ্লোটিলার আটক অধিকারকর্মীরা ২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছতে পারেন২০ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ