আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
Published: 1st, July 2025 GMT
মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি এলাকায় রশিদ গৌড়ার ইটভাটা সংলগ্ন আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে এক নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নদীতে ভেসে আসা একটি বস্তার ভিতরে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মরদেহের পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/বেলাল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক দুই মন্ত্রীর ছেলে–বোনসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রারসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার এ–সংক্রান্ত অফিসে আদেশ জারি করেন উপাচার্য ওমর ফারুক ইউসুফ।
অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীনের ছেলে মাহিদ বিন আমীন ও সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের বোন আইরিন সুলতানাও রয়েছেন। চিকিৎসক মাহিদ বিন আমীন সহকারী রেজিস্ট্রার এবং চিকিৎসক আইরিন সুলতানা উপ–কলেজ পরিদর্শক ছিলেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হাসিনা নাসরীন, সহকারী রেজিস্ট্রার এ এম শাহদাত হোছাইন ও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু মোহাম্মদ মাসুদ। হাসিনা নাসরীন নোয়াখালীর পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদ উল্লাহ খানের বোন। শাহদাত ও মোহাম্মদ মাসুদ ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে।
অব্যাহতি আদেশে লেখা হয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত কর্মকর্তার নিয়োগ ও পদোন্নতি সংবিধি ২০২২–এর ধারা ১৪–এর ২৪ উপধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে অব্যাহত দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাচার্য ওমর ফারুক ইউসুফকে ফোন করা হলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অব্যাহতি পাওয়া সহকারী রেজিস্ট্রার মাহিদ বিন আমীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কালও অফিস করেছি। পরে আজ চিঠি পেলাম। এখন দেখি কী করা যায়।’