ম্যানসিটিকে থামিয়ে বিশ্বমঞ্চে সৌদি বিস্ময়, গার্দিওলার কণ্ঠে হতাশা
Published: 1st, July 2025 GMT
ক্লাব বিশ্বকাপে নতুন করে আলোচনায় উঠে এলো সৌদি ফুটবলের শক্তি। ইউরোপীয় ফুটবলের মহারথী ম্যানচেস্টার সিটিকে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আল-হিলাল। উত্তেজনায় ভরপুর এই ম্যাচে যেমন ছিল গোল বন্যা, তেমনি ছিল নাটকীয়তা, মনখারাপ আর বিস্ময়; সব মিলিয়ে এক ফুটবলীয় মহা-উপাখ্যান।
ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকে শুরু হয় সমানতালে লড়াই। নির্ধারিত সময় শেষে দুই দল ২-২ সমতায় থাকলে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে সৌদি ক্লাবটি। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে স্কোরবোর্ডে লেখা হয় এক নতুন ইতিহাস।
পরাজয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে হতাশ গলায় ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, “এই হারের রেশ অনেকদিন থাকবে। আমাদের যাত্রাটা চমৎকার ছিল, কিন্তু শেষটা কাম্য ছিল না। অনেক প্রস্তুতির পরও ছেলেরা ঠিক মতো পারফর্ম করতে পারেনি। তাই কাউকে ধন্যবাদ জানাতে পারছি না।”
আরো পড়ুন:
ম্যানসিটির স্বপ্নভঙ্গের রাত, ইতিহাস গড়ে শেষ আটে আল-হিলাল
হেরেও মাথা উঁচু মেসির, ‘আমরা চেষ্টা করেছি, গর্বিতভাবে ফিরছি’
তবে কেবল হতাশাই নয়, প্রতিপক্ষের প্রশংসাও করেছেন গার্দিওলা। গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনোর অসাধারণ সেভগুলো আলাদাভাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু বুনো যেন এক প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা ছিল কঠিন। ওদের রক্ষণ ভাঙা সহজ ছিল না। উইঙ্গাররাও দুর্দান্ত খেলেছে। কিছু সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ফল ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওরাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আমাদের শাস্তি দেয়।”
আল-হিলালের এই জয় কেবল ক্লাবের জন্য নয়, বরং পুরো সৌদি ফুটবলের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। প্রমাণ হয়ে গেল, শুধু তারকার নামেই নয় দলে যদি থাকে লড়াই করার মানসিকতা ও শৃঙ্খলিত রণনীতি, তবে ইউরোপের ক্লাবদেরও চমকে দেওয়া সম্ভব।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে ধর্ষণ: নির্যাতনকারী আরও ১২ জনকে খুঁজছে পুলিশ
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালকাণ্ডে আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ছাড়াও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্য। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। এদিকে ভিডিওকাণ্ডে গ্রেপ্তার চারজনের রিমান্ড শুনানি আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ওই নারীকে নিপীড়ন ও ভিডিও ভাইরালকাণ্ডে পুলিশের অভিযানে চারজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর জড়িত বাকিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন বলেন, যারা প্রকৃতভাবে ঘটনায় জড়িত, তাদের বাড়িঘরে নারীরা ছাড়া আর কেউ নেই।
এক প্রতিবেশী জানান, ওই রাতে নারীকে নির্যাতনের শুরুতে তাঁর মা-বাবা বাড়িতে না থাকলেও পরে কিছু সময় পর তারা বাড়িতে ফেরেন। সে সময় নারীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারনের বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ না করতে হুমকি দেওয়া হয়। ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল ও তাঁর স্বামীর কাছে পাঠিয়ে সংসার ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা।
মঙ্গলবার মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, পুলিশ ছাড়াও ডিবির একাধিক টিম সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠে অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এলাকার যুবকরা উল্টো তাঁকে মারধর ও নিপীড়নের ভিডিও ধারণ করে। এ সময় তারা ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের ফজর আলী নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামি ফজরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
উপদেষ্টা ও ওসিকে দুষলেন সাবেক এমপি
আজ দুপুরে নির্যাতিত নারী ও তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে হেলিকপ্টারে মুরাদনগরে আসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। তবে আগের দিনই ওই নারী স্বামীর বাড়ি চলে যান।
পরে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে কায়কোবাদ বলেন, এই পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এ থানায় যোগদানের পর ওসি এবং উপদেষ্টা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন করেছেন। এ কারণে এসব ঘটনা ঘটছে।
সমাবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলা বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন, সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হকসহ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতার অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি জাহিদুর বলেন, কোনো দলকে পুনর্বাসন করা পুলিশের কাজ নয়।