ক্লাব বিশ্বকাপে নতুন করে আলোচনায় উঠে এলো সৌদি ফুটবলের শক্তি। ইউরোপীয় ফুটবলের মহারথী ম্যানচেস্টার সিটিকে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আল-হিলাল। উত্তেজনায় ভরপুর এই ম্যাচে যেমন ছিল গোল বন্যা, তেমনি ছিল নাটকীয়তা, মনখারাপ আর বিস্ময়; সব মিলিয়ে এক ফুটবলীয় মহা-উপাখ্যান।

ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকে শুরু হয় সমানতালে লড়াই। নির্ধারিত সময় শেষে দুই দল ২-২ সমতায় থাকলে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে সৌদি ক্লাবটি। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে স্কোরবোর্ডে লেখা হয় এক নতুন ইতিহাস।

পরাজয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে হতাশ গলায় ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, “এই হারের রেশ অনেকদিন থাকবে। আমাদের যাত্রাটা চমৎকার ছিল, কিন্তু শেষটা কাম্য ছিল না। অনেক প্রস্তুতির পরও ছেলেরা ঠিক মতো পারফর্ম করতে পারেনি। তাই কাউকে ধন্যবাদ জানাতে পারছি না।”

আরো পড়ুন:

ম্যানসিটির স্বপ্নভঙ্গের রাত, ইতিহাস গড়ে শেষ আটে আল-হিলাল

হেরেও মাথা উঁচু মেসির, ‘আমরা চেষ্টা করেছি, গর্বিতভাবে ফিরছি’

তবে কেবল হতাশাই নয়, প্রতিপক্ষের প্রশংসাও করেছেন গার্দিওলা। গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনোর অসাধারণ সেভগুলো আলাদাভাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু বুনো যেন এক প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা ছিল কঠিন। ওদের রক্ষণ ভাঙা সহজ ছিল না। উইঙ্গাররাও দুর্দান্ত খেলেছে। কিছু সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ফল ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওরাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আমাদের শাস্তি দেয়।”

আল-হিলালের এই জয় কেবল ক্লাবের জন্য নয়, বরং পুরো সৌদি ফুটবলের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। প্রমাণ হয়ে গেল, শুধু তারকার নামেই নয় দলে যদি থাকে লড়াই করার মানসিকতা ও শৃঙ্খলিত রণনীতি, তবে ইউরোপের ক্লাবদেরও চমকে দেওয়া সম্ভব।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ