এনবিআরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
Published: 1st, July 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে কর আদায়ে ঘুষ গ্রহণ, কর ফাঁকির সুযোগ দেওয়া এবং হয়রানির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
যাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, তাঁরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য লুৎফুল আজীম, ভ্যাটের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) অতিরিক্ত কমিশনার আবদুর রশীদ মিয়া, কর গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, কর অঞ্চল–১৬–এর উপকর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম ও এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান।
দুদক জানায়, এই কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুদক সূত্র জানায়, তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কিছু করদাতাকে কর ফাঁকির সুযোগ করে দিচ্ছেন। আবার নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে ইচ্ছাকৃতভাবে কর কমিয়ে দেন—যাতে করদাতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উভয়ে লাভবান হন। এর ফলে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কিছু কর্মকর্তা ঘুষ না পেলে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে করদাতা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকদের হয়রানি করেন। কর ফেরতের ক্ষেত্রেও অনিয়ম চলছে দীর্ঘদিন ধরে। করদাতারা আগাম কর দেওয়ার পর কিংবা বেশি কর পরিশোধের পর নিয়ম অনুযায়ী তা ফেরত পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা ফেরত পেতে গেলে অনেক সময় অতিরিক্ত করের অর্ধেক পরিমাণ ঘুষ দিতে হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই এসব টাকা নিজেদের পকেটে ভরছেন বলে জানা গেছে।
দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এনবিআরের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর আদায়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত র করদ ত
এছাড়াও পড়ুন:
গাড়ি কেনার পর যা করবেন, যা করবেন না
ব্যক্তিগত গাড়ি এখন শখের বশেই কিনছেন না, প্রয়োজন ও তাগিদের জন্যই নতুন গাড়ি কিনছেন শহরবাসী। প্রথমবার গাড়ি কেনার পর অনেকেই দ্বিধায় থাকেন গাড়ি নিয়ে। গাড়ির নানা অনুষঙ্গ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকে।
গাড়ি কেনার সময় যা করবেনঢাকার বাংলামোটরের বেশ কিছু গাড়ির পার্টস ও সরঞ্জাম বিক্রি এবং সার্ভিসিংয়ের দোকান গড়ে উঠেছে। সেখানে কথা হয় গাড়ি নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল মেহেদি কার শোর পরিবহনবিশেষজ্ঞ মো. মেহেদি হাসানের সঙ্গে। তিনি জানান, এখন মানুষ ব্র্যান্ডের নতুন গাড়ি, যা জিরো মাইলেজ গাড়ি হিসেবে পরিচিত গাড়ি কিনছেন। এ ছাড়া রিকন্ডিশন ও পুরোনো দুই ধরনেরই গাড়ি কিনছেন। ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির ক্ষেত্রে সবকিছুই নতুন থাকে, সরাসরি জাপান বা চীনের ফ্যাক্টরি থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। আর শোরুম থেকে কেনার সময় প্রথমেই গাড়ির অকশন পেপারসহ অন্যান্য আইনগত কাগজপত্র পরীক্ষা করে নিতে হবে। এতে অনলাইন থেকে ট্রু রিপোর্টের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্যসহ গাড়ির চেসিস নম্বর, মাইলেজ ও গ্রেড সম্পর্কে ধারণা পাবেন। এরপর গাড়ির ইঞ্জিন, গিয়ার অয়েল, টায়ার থেকে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য ডায়ালাইসিস করতে হবে। মোবিল ফিল্টার, এয়ার ফিল্টার, গিয়ার অয়েল–এসব পরিবর্তন করতে হবে কেনার সময়। যেসব গাড়ির সংযোজন বাংলাদেশেই হচ্ছে সেগুলোর ক্ষেত্রেই সবকিছু নতুনই থাকে।
গাড়ির ইঞ্জিন