কুড়িগ্রামের চিলমারীতে একটি কড়ইগাছের কোটরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সেখানে পুরোপুরি আগুন নেভাতে পারেননি উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফলে আগুনের তাপে গাছটির একটি অংশ ফেটে পড়ে গেছে। এভাবে আগুন জ্বলার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি কেউ।

আজ সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রমনা রেলস্টেশন–সংলগ্ন এলাকার ওই গাছের গোড়ার দিকে ভেতরের ফাঁকা অংশে আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন। একপর্যায়ে গাছের বিভিন্ন ডাল দিয়ে আগুনের ধোঁয়া বের হতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। গাছটি দেখতে সকাল থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা।

স্থানীয় বাসিন্দা মামুন মিয়া বলেন, সকালে লোকজন বলল, একটি গাছের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। গোড়ার দিকে আগুন জ্বলছে। পরে তিনি গিয়ে দেখেন সত্যিই আগুন জ্বলছে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়েছে কি না, বুঝতে পারছেন না।

আল আমিন নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসও আগুন নেভাতে পারেনি। এটা কোথা থেকে এল, আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারছি না।’

আগুনের তাপে গাছটির একটি অংশ ফেটে পড়ে যায়।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগ ন জ

এছাড়াও পড়ুন:

রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ‌‌পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।”

আরো পড়ুন:

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি

এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী

ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

তিনি বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”

তিনি আরো যোগ করেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, এই অভিযোগগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তিনি তার মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ