ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইরানে আটকে পড়া ২৮ জন বাংলাদেশি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। গত সপ্তাহের বুধবারে রওনা হয়ে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তেহরান থেকে ওই বাংলাদেশিরা রোববার করাচিতে পৌঁছায়। সেখান থেকে সোমবার রাতে দুবাই হয়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন।

বিমানবন্দর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক (বিএমইটি) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন সমকালকে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় তারা দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন।
 
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায় যে সবাই সুস্থ অবস্থায় আছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে তিনজন রোগী ছিল এবং তাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মাসে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ে তেহরান আক্রান্ত হলে সেখান থেকে বাংলাদেশিদের সরে যেতে হয়। এদের মধ্যে যারা বাংলাদেশে আসতে ইচ্ছুক তাদেরকে সরকারি ব্যবস্থায় ফেরত আনার কথা জানানো হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। এতে সই করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন কর্মকর্তা জাকির হোসেন ২১ ও ২৮ জুন তারিখে কর্মস্থলে উপস্থিত হননি। অথচ এর আগে ১৮ জুন ২০২৫ তারিখে এনবিআরের এক আদেশে ২৮ জুনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সে নির্দেশ অমান্য করায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৮-এর ধারা ৩৯(১) অনুযায়ী তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সরকার পরিবর্তন, আন্দোলন, বিক্ষোভ, গণঅভ্যুত্থান, দুর্ভিক্ষ, করোনা মহামারিসহ সব সংকটে দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি-রপ্তানির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কোনোদিন বন্ধ হয়নি। তবে শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কমিশনার জাকির হোসেন কাস্টমস হাউসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকায় এনবিআরের চলমান আন্দোলনে পাঠিয়ে দেন। তিনি নিজেও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সব কার্যক্রম বন্ধ করে ঢাকায় আন্দোলনে অংশ নেন বলে এনবিআর সূত্রে জানা যায়। 

এনবিআরের সংস্কারের অংশ হিসেবে সংস্থাটিকে দুই ভাগ করার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ গত দুই মাসব্যাপী আন্দোলন অব্যাহত রাখে। এই সময়ে তারা কলমবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি এমনকি শাটডাউনের মতো কর্মসূচিতে চলে যান। সর্বশেষ সরকার হার্ডলাইনে গেলে রোববার রাতে তারা সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ