যুদ্ধে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি ইরান থেকে দেশে ফিরলেন
Published: 2nd, July 2025 GMT
যুদ্ধের সময় ইরানে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন। আমিরাতের দুবাই ও পাকিস্তান হয়ে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এসব বাংলাদেশি বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
বিমানবন্দর প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের (বিএমইটি) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন সমকালকে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় তারা দেশে ফিরতে সক্ষম হন।
বিমানবন্দর কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হলে তেহরানে আটকা পড়েন এসব বাংলাদেশি। ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালানোর পর থেকেই তারা বিপাকে ছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে দেশে ফেরার পথ তৈরি হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এলপিজি গ্যাস ছেড়ে বিক্ষোভ, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন শত শত শ্রমিক
গ্যাস বটলিং প্ল্যান্টের এলপিজি গ্যাস ছেড়ে শ্রমিক বিক্ষোভ! কাঁধে সিলিন্ডার তুলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক সিলিন্ডার গ্যাস। গ্যাসের ধোঁয়ায় ঢেকেছে গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট। ঢেকেছে আশপাশের এলাকা। প্রয়োজন শুধু একটু আগুনের ফুলকি! ভয়ংকর!
ভয়ংকর বললেও কম বলা হবে এই ঘটনাকে। শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল বিক্ষোভে এভাবেই প্রাণহানির সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল শত শত মানুষের। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার অদূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজের আইওসি বটলিং প্ল্যান্টের।
প্ল্যান্টের গাড়ির খালাসি ও চালকরা গত শনিবার থেকে দুই চালককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও লোডিং-আনলোডিংয়ে বকেয়া টাকা পরিশোধ-সহ বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন ও ধর্মঘট করছিলেন। চালকদের ধর্মঘটের জেরে প্ল্যান্ট থেকে গাড়ি না বেরোনোয় অসুবিধায় পড়ছিলেন গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় প্ল্যান্টের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দল ওই চালক এবং খালাসিদের সঙ্গে আলোচনা করে ধর্মঘট তুলে নিতে বলে। কিন্তু তাতে চালক ও খালাসিরা রাজি না হওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। বেশ কয়েকটি মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয়।
আরো পড়ুন:
হাসিতে মিলিয়ে গেল বাঘের আতঙ্ক
তামিলনাড়ুতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৬
অভিযোগ ওই হাতাহাতি চলাকালীন একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কাঁধে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের সিলিন্ডার নিয়ে বিক্ষোভরত শ্রমিকরা এলপিজি ছেড়ে দিচ্ছেন। যার জেরে মুহূর্তেই গ্যাসের ধোঁয়ায় ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা প্ল্যান্ট ও সংলগ্ন এলাকা। আর এমন পরিস্থিতিতে সামান্য আগুনের সংস্পর্শে ঘটতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা। মুহূর্তে ঘটতে পারত বড়সড় গ্যাস বোমা বিস্ফোরণ। শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল বিক্ষোভে মুহূর্তে প্রাণ হারাতে পারত শতাধিক শ্রমিক।
এদিন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে বজবজ থানার বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মহেশতলা থানা থেকেও পরে পুলিশ বাহিনী আসে। নামানো হয় র্যাফও। এলাকা এখনও থমথমে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ