ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পা কেন বেশি স্থূল ও শক্তিশালী
Published: 2nd, July 2025 GMT
নারীদের পা তুলনামূলকভাবে স্থূল হওয়ার পেছনে কিছু বৈজ্ঞানিক ও শারীরবৃত্তীয় কারণ আছে। নিচে সহজ ভাষায় সেগুলো ব্যাখ্যা করা হলো।
হরমোনজনিত পার্থক্যইস্ট্রোজেন নামক একটি হরমোন আছে, যা সাধারণত নারীদের দেহে পাওয়া যায়। এই হরমোন শরীরে, বিশেষ করে ঊরু, নিতম্ব ও পায়ে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। এই ফ্যাট নারীকে প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও সুরক্ষা দেয়। গর্ভধারণের সময়ে শরীরের এসব অংশে চর্বি দরকার পড়ে।
চর্বির বণ্টনছেলেদের শরীরে চর্বি সাধারণত পেটের চারপাশে জমে, যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গের আশপাশে থাকে। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে চর্বি জমে ত্বকের নিচে, বিশেষ করে ঊরু ও পায়ে। এ জন্য তাঁদের পা দেখতে তুলনামূলক স্থূল লাগে।
বংশগত প্রভাবঅনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও মেয়েদের নির্দিষ্ট অংশে বেশি ফ্যাট জমে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় নারীদের ক্ষেত্রে ঊরুতে ফ্যাট জমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
শরীরের গঠনগত পার্থক্যনারীদের হাড় ও পেশির গঠন ছেলেদের চেয়ে আলাদা। নারীদের পেলভিস চওড়া থাকে। যে কারণে পা ও নিতম্বকে দেখায় প্রশস্ত। তাঁদের পেশি তুলনামূলকভাবে ছেলেদের মতো শক্ত না হওয়ায় ফ্যাট বেশি লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া বডি টাইপ বলেও একটি কথা আছে। একেক নারীর বডি টাইপ একেক রকম, সে অনুযায়ী একেকজনের কোমর হয় প্রশস্ত আর কাঁধ সরু, আবার অনেকের কাঁধ চওড়া ও কোমর হয় সরু।
আরও পড়ুন‘মোটা হয়ে যাচ্ছ’—আপনাকে কেউ এ কথা বললে যে উত্তর দেবেন০৬ জুন ২০২৩মাতৃত্বকালীন পরিবর্তনগর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে পায়ে ও নিতম্বে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে। অনেক সময় সন্তান প্রসবের পরেও এগুলো কমে না। কেউ কেউ আবার মা হওয়ার পর পায়ের চর্বি নিয়ে খুব একটা সচেতন থাকেন না। ফলে পা তুলনামূলক স্থূল দেখায়।
পায়ে ফ্যাট বা চর্বি থাকা স্বাস্থ্যগত দিক থেকে খারাপ নয়; বরং এটি প্রাকৃতিক ও প্রজননে সহায়ক একধরনের বৈশিষ্ট্য। তবে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে গেলে স্থূলতা বা হরমোনাল সমস্যা তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ।
ফওজিয়া আহমেদ, পুষ্টিবিদ, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুন৩০ মিনিট হাঁটা, নাকি ১০ মিনিট দৌড়—কোনটা বেশি ভালো২২ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হরম ন
এছাড়াও পড়ুন:
অস্বাভাবিকভাবে ইলিশের দাম বাড়ানো যাবে না: মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম যেন কোনো অবস্থাতেই অস্বাভাবিকভাবে না বাড়ে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ইলিশের মূল্য ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘ইলিশসহ সকল ধরণের মাছের সরবরাহ ও মূল্য শৃঙ্খলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের লক্ষ্যে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম সরাসরি ঘোষণা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বরং বাজারে দাম বৃদ্ধির পেছনের কারণগুলো চিহ্নিত করতে পারলে, তাতে কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করা যায়। ইলিশের আহরণ, মজুদ ও বিপণন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। সরকার নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অবৈধ উপায়ে মাছ ধরা ও নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। বহু ক্ষেত্রেই আইন অমান্যকারী জেলেদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। অবৈধ জাল উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধেও সরকারের বিভিন্ন বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।
উপদেষ্টা বলেন, নাব্যতা কমে যাওয়ার ফলে ইলিশের প্রাকৃতিক চলাচল ও প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি উদ্বেগজনক। এ সংকট নিরসনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
সভায় বক্তারা ইলিশের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন, প্রজনন মৌসুমে সুরক্ষা, নদীর নাব্যতা রক্ষা এবং অবৈধ উপায়ে আহরণ রোধে সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।