নারীদের পা তুলনামূলকভাবে স্থূল হওয়ার পেছনে কিছু বৈজ্ঞানিক ও শারীরবৃত্তীয় কারণ আছে। নিচে সহজ ভাষায় সেগুলো ব্যাখ্যা করা হলো।

হরমোনজনিত পার্থক্য

ইস্ট্রোজেন নামক একটি হরমোন আছে, যা সাধারণত নারীদের দেহে পাওয়া যায়। এই হরমোন শরীরে, বিশেষ করে ঊরু, নিতম্ব ও পায়ে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। এই ফ্যাট নারীকে প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও সুরক্ষা দেয়। গর্ভধারণের সময়ে শরীরের এসব অংশে চর্বি দরকার পড়ে।

চর্বির বণ্টন

ছেলেদের শরীরে চর্বি সাধারণত পেটের চারপাশে জমে, যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গের আশপাশে থাকে। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে চর্বি জমে ত্বকের নিচে, বিশেষ করে ঊরু ও পায়ে। এ জন্য তাঁদের পা দেখতে তুলনামূলক স্থূল লাগে।

বংশগত প্রভাব

অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও মেয়েদের নির্দিষ্ট অংশে বেশি ফ্যাট জমে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় নারীদের ক্ষেত্রে ঊরুতে ফ্যাট জমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

শরীরের গঠনগত পার্থক্য

নারীদের হাড় ও পেশির গঠন ছেলেদের চেয়ে আলাদা। নারীদের পেলভিস চওড়া থাকে। যে কারণে পা ও নিতম্বকে দেখায় প্রশস্ত। তাঁদের পেশি তুলনামূলকভাবে ছেলেদের মতো শক্ত না হওয়ায় ফ্যাট বেশি লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া বডি টাইপ বলেও একটি কথা আছে। একেক নারীর বডি টাইপ একেক রকম, সে অনুযায়ী একেকজনের কোমর হয় প্রশস্ত আর কাঁধ সরু, আবার অনেকের কাঁধ চওড়া ও কোমর হয় সরু।

আরও পড়ুন‘মোটা হয়ে যাচ্ছ’—আপনাকে কেউ এ কথা বললে যে উত্তর দেবেন০৬ জুন ২০২৩মাতৃত্বকালীন পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে পায়ে ও নিতম্বে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে। অনেক সময় সন্তান প্রসবের পরেও এগুলো কমে না। কেউ কেউ আবার মা হওয়ার পর পায়ের চর্বি নিয়ে খুব একটা সচেতন থাকেন না। ফলে পা তুলনামূলক স্থূল দেখায়।

পায়ে ফ্যাট বা চর্বি থাকা স্বাস্থ্যগত দিক থেকে খারাপ নয়; বরং এটি প্রাকৃতিক ও প্রজননে সহায়ক একধরনের বৈশিষ্ট্য। তবে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে গেলে স্থূলতা বা হরমোনাল সমস্যা তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ।

ফওজিয়া আহমেদ, পুষ্টিবিদ, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুন৩০ মিনিট হাঁটা, নাকি ১০ মিনিট দৌড়—কোনটা বেশি ভালো২২ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হরম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ