কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হানিফ পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গয়ালমারা এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের কিছু অংশ খাদে ডুবে যায়। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাত ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় চিরিংগা হাইওয়ে থানা-পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও চকরিয়া থানা-পুলিশ।

রাত আড়াইটার দিকে বাসটি ক্রেন দিয়ে খাদ থেকে তোলা হয়। এ সময় এক যুবকের লাশ বাসের জানালায় ঝুলে থাকতে দেখা যায়। আরেক যাত্রীর লাশ বাসটির নিচে চাপা পড়ে ছিল। বাসটিতে চালক-সহকারীসহ ৪০ জন ছিলেন বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল হয়ে পড়া সড়কে দ্রুতগতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি।

জানতে চাইলে বাসটির যাত্রী কাজী সোহেল (৪২)  প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মাতারবাড়ী কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে চাকরি করেন। চট্টগ্রাম থেকে চকরিয়া পর্যন্ত টিকিট কেটেছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে চুনতি পর্যন্ত বাসটি ধীরগতিতে চলে। এ কারণে যাত্রীদের সঙ্গে চালকের কথা-কাটাকাটিও হয়। তবে চুনতি পার হওয়ার পর হঠাৎ দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি।
জানতে চাইলে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, নিহত দুজনের লাশ হাইওয়ে থানায় রয়েছে। বাসটিও উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

গাজার নিরাপত্তায় থাকবে ইসরায়েলের বন্ধু দেশের সেনারা: যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গাজায় যে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তাতে এমন দেশ থাকতে হবে যাদের সাথে ইসরায়েল ‘স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।’ শুক্রবার ইসরায়েল সফররত রুবিও এ কথা বলেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাজার শাসনব্যবস্থার ভবিষ্যৎ এখনো ইসরায়েল এবং অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তবে হামাসকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। তবে শাসন ব্যবস্থায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য সম্ভাব্য ভূমিকা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাতে গাজার নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে কোন কোন দেশের সেনা থাকবে তা নির্ধারণ করা হয়নি।

অবশ্য গাজায় স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে চলতি মিশরের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এ বাহিনীতে মিশরের পাশাপাশি তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং আজারবাইজানকে মূল সৈন্যদাতা দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তবে গাজায় কোনো তুর্কি সেনা মোতায়েনের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ