কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার গহীন পাহাড় থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। পরে বিকেলে টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

পাবনায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার 

লেফট্যানেন্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল সংখ্যক নারী, শিশু ও পুরুষকে বাহারছড়ার পিনিস ভাঙ্গা পাহাড়ি এলাকায় জিম্মি করে রাখা হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে মধ্যরাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই পাহাড়ের চূড়া থেকে ৪৪ জনকে উদ্ধার করা হয়।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘কয়েকটি সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, উন্নত জীবনযাপন ও অল্প খরচে বিদেশযাত্রার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের নিয়ে আসে। পরে টেকনাফের গহীন পাহাড়ে আটকে রেখে পাচারের প্রস্তুতি নেয়। একইসঙ্গে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টাও চলছিল বলে তারা জানিয়েছে।’’ 

অভিযান চলাকালে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। তবে তাদের আটকের জন্য কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

লেফট্যানেন্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, “মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।”
 

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র কম ন ড র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় সামাজিক মাধ্যমে বন্ধ হয়ে গেল ১৬ বছরের কম বয়সীদের লাখো অ্যাকাউন্ট

অস্ট্রেলিয়ায় আজ বুধবার দিনের প্রথম প্রহরে কার্যকর হয়েছে নতুন একটি আইন। দেশটিতে এর আওতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৬ বছরের কম বয়সীদের লাখো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে।

শিশু-কিশোরদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেন্দ্রিক সহিংসতা ও আসক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে নতুন এ আইন কার্যকর করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

নতুন এ আইনের আওতায় অস্ট্রেলিয়ার ১৬ বছরের কম বয়সী শিশু–কিশোরেরা এখন থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় নিজেরা অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং সেসব ব্যবহার করতে পারবে না।

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ এ আইন প্রণয়নের ঘোষণা দেন। পরে সেটি দেশটির পার্লামেন্টে পাস হয়। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, আইন লঙ্ঘন করলে শিশু–কিশোরদের কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে না।

ব্যবহারকারীর বয়স অন্তত ১৬ বছর—এটা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব প্ল্যাটফর্মের। কাজেই সবচেয়ে গুরুতর বিচ্যুতির জন্য তাদের সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪৯ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার) জরিমানা দিতে হবে।

আইনটির সমর্থকেরা বলছেন, এটি শিশুদের আসক্তিকর অ্যালগরিদমের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে, যে অ্যালগরিদম সহিংসতা, পর্নোগ্রাফি ও ভুল তথ্যের মতো ক্ষতিকর কনটেন্ট তাদের সামনে এনে দেয়।

এমনও বলা হচ্ছে, এটি সাইবার হেনস্তা (বুলিং) এবং অনলাইনে শিশুদের যৌন ও অন্যান্য শোষণ কমাবে। এ ছাড়া এটি শিশুদের বাইরে খেলতে বাধ্য করবে, তাদের ঘুম ভালো হবে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হবে।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার০৭ নভেম্বর ২০২৪

অন্যদিকে নতুন আইনের সমালোচনাকারীদের মতে, নিষেধাজ্ঞা কাজে প্রয়োগ করবে যে প্রযুক্তি, তার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ আছে। পাশাপাশি ভয় আছে, এটা নাজুক শিশুদের কোণঠাসা, একাকী করে ফেলতে পারে। অন্যদেরও অনলাইনের অন্ধকার এবং কম নিয়ন্ত্রিত অংশের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

আরও পড়ুনশিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করে অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তাব পাস২৮ নভেম্বর ২০২৪আরও পড়ুনসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শিশুদের দূরে রাখতে পারবেন কি০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ