প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাজনৈতিক ঐকমত্য, তবে...
Published: 13th, July 2025 GMT
আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্যে কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগে ঐকমত্য হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে কোনো দল যদি জ্যেষ্ঠতম দু’জন থেকে একজনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ওইদল বিজয়ী হলে তা করতে পারবে। বিধানটি যুক্ত করার বিষয়েও একমত দলগুলো।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনে দুপুরের বিরতির পর এই ঐকমত্যে পৌঁছায় দলগুলো।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্যে থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হবে।
এদিন সকালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয় আলোচনা শেষে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারককে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব করে জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি দল। বিএনপিসহ ছয়টি দল আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম দুই বিচারপতির একজনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব করে। দুপুরের বিরতির আগে ঐকমত্য ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
দুপুরের বিরতির পরে আবারও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয় আপিল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারক পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হবেন। তবে কোনো দল যদি তাদের নির্বাচনের ইশতেহারের কর্মে দু’জন থেকে একজন নিয়োগ করবেন, তারা বিজয়ী হলে তা করতে পারবে।
এতে একমত প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জ্যেষ্ঠতম বিচারককে আপনি পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন, তা মানি৷ তবে বিএনপি নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি হলো) আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার যা রাখা হবে, তা হলো কর্ম জ্যেষ্ঠতম দু’জন থেকে একজনকে প্রধান বিচারপতি করা হবে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, আমাদের দলীয় অবস্থান হলো আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারকই হবেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। এরপর কেউ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার দু’জন থেকে একজনকে রাখার কথা বলে। সেক্ষেত্রে জনগণ সুপারসিড চাইলে আমরা মানব।
পরে কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ঐকমত্যের ঘোষণা করা হয়। তাতে বলা হয়, আপিল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠ বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের অভিযোগের কারণে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে কোনো তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান না থাকলে, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ক দল আপ ল ব ভ গ র র প রস ত ব ইশত হ র ঐকমত য পরবর ত জন থ ক দলগ ল
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরা ইপিজেডের ৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বন্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্ট লিমিটেড এবং মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড।
কারখানা কর্তৃপক্ষের জারি করা নোটিশে জানানো হয়েছে, গত শনিবার কিছু শ্রমিক কারখানার কাজে যোগ না দিয়ে প্রধান ফটকের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে তারা অন্যান্য শ্রমিকদেরও সঙ্গে একত্রিত করে বেআইনিভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেন।
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তাদের যেকোনো দাবি-দাওয়া আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে এবং দ্রুত কাজে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু, শ্রমিকরা নির্দেশনা অমান্য করে কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকেন। রবিবার একইভাবে কাজ বন্ধ রাখায় কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শ্রমিকদের এই আচরণ বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘটের অন্তর্ভুক্ত। শ্রমিকদের বাধা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা কর্তৃপক্ষের পক্ষে আর সম্ভব নয়।
শ্রমিকদের জোরপূর্বক উৎপাদন বন্ধ রাখা, বেআইনি ধর্মঘট এবং কারখানার অস্থিতিশীল পরিবেশ বিবেচনা করে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী রবিবার থেকে ৪টি কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তীতে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে নোটিশের মাধ্যমে পুনরায় কারখানা খোলার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে, এই ঘোষণা কারখানার নিরাপত্তা শাখা ও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/সিথুন/রাজীব