নিজ বাড়িতে হেনস্তার অভিযোগ, কান্নায় ভেঙে পড়লেন তনুশ্রী (ভিডিও)
Published: 23rd, July 2025 GMT
নিজের বাড়িতে হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন বলিউডের জনপ্র্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে কাঁদতে কাঁদতে এসব তথ্য জানান ‘আশিক বানায়া আপনে’খ্যাত এই তারকা।
এ ভিডিওতে দেখা যায়, অঝোরে কাঁদছেন তনুশ্রী। কাঁদতে কাঁদতে এ অভিনেত্রী বলেন, “নিজের বাড়িতে আমাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। আমি পুলিশকে ফোন করেছিলাম, পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেছে। আগামীকাল যাব কারণ আজ আমার শরীর ভালো লাগছে না। গত ৪-৫ বছর ধরে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে আমার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। আমি কিছুই করতে পারছি না। আমার বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।”
নিজের মতো করে পরিচারিকা রাখতেও পারেন না তনুশ্রী। এ অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমি বাড়িতে ওষুধও রাখতে পারি না। কারণ ওরা পরিকল্পনা করে পরিচারিকা রেখেছে আমার উপর নজর রাখার জন্য। আমি ওদের বিশ্বাস করি না। কারণ ওরা আমার বাড়ি থেকে চুরি করে। নতুন কাজের মানুষও ওরা নিতে দেয় না। সব কাজ আমাকেই করতে হয়। আমার বাড়িতে আমাকে হয়রানি করছে। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।”
আরো পড়ুন:
দুঃসাহসিক বিমান যাত্রার গল্প নিয়ে বলিউডের ৪ সিনেমা
সংসার ভাঙছে ‘কোই মিল গ্যায়া’ সিনেমার সেই টিনার?
ইনস্টাগ্রামে একটি অডিও শেয়ার করেছেন তনুশ্রী, তাতে কিছু কণ্ঠস্বর শোনা যায়। এর ক্যাপশনে তনুশ্রী লেখেন, “আমি এমন বিকট শব্দের মুখোমুখি হচ্ছি। আমার বাড়ির ছাদে, দরজার বাইরে অদ্ভুত শব্দ হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে এটা হচ্ছে। আমি বিল্ডিংয়ের ম্যানেজমেন্টের কাছে অভিযোগ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এখন কানে হেডফোন লাগিয়ে হিন্দু মন্ত্র শুনি। আমি প্রচন্ড চাপ ও উদ্বেগের মধ্যে আছি। আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি।”
কারা এভাবে হেনস্তা করছেন, সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলেননি তনুশ্রী। তবে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান এই অভিনেত্রী।
২০২২ সালে এমন অভিযোগ করেছিলেন তনুশ্রী। তখন এ অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন—খাবারে বিষ মিশিয়ে তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
২০০৫ সালে ‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমার মাধ্যমে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তনুশ্রী দত্ত। এরপর ‘চকোলেট’, ‘ভাগাম ভাগ’, ‘রাকীব’, ‘ঢোল’, ‘গুড বয় ব্যাড বয়’, ‘অ্যাপার্টমেন্ট’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন। দীর্ঘ দিন ধরে সিনেমা থেকে দূরে রয়েছেন তনুশ্রী। ২০১৮ সালে অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে দারুণ আলোচনার জন্ম দেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র ব ড়
এছাড়াও পড়ুন:
পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য
থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা সহায়তা হিসেবে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুন:
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
ইবিতে কুরআন ও হিজাববিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের
অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একাডেমিক ও গবেষণামুখী শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা ও দোয়ার নিদর্শনস্বরূপ কিছু করতে পারায় আমরা আনন্দিত। আমরা থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি খুব শিগগিরই পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালু করব।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়ন ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে প্রশাসন অব্যাহতভাবে কাজ করছে। গবেষণার সুযোগ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “গবেষণার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের থিসিসে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের অনুদান প্রদান একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। অনুদানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে।”
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় প্রতিটি থিসিস শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ১২৪ টাকা করে অনুদান পাবেন। এ অর্থ শুধু গবেষণাসংক্রান্ত কাজে ব্যয়যোগ্য এবং ‘থিসিস শিক্ষার্থীদের বৃত্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিটি অনুষদ থেকে দুজন করে শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর থেকে পরিচয়পত্র বা প্রবেশপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ করতে পারবেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী