নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (২০১৯-২০ সেশন) দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দিয়েছে। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ব্যাচগুলোর ফল প্রকাশেও একই ধরনের বিলম্বের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করলেও এখনো ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।

২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগের লিখিত পরীক্ষা গত ১৭ এপ্রিল, ল্যাব পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শেষ হয়েছে। এছাড়া গবেষণাপত্রের চূড়ান্ত প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭ মে। এর মধ্যে দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় চাকরি ও উচ্চশিক্ষার আবেদনসহ নানা ক্ষেত্রে তারা সমস্যায় পড়ছেন।

আরো পড়ুন:

ঢাবির হ‌লে অধূমপায়ীদের কক্ষে ধূমপায়ীদের সিট দেওয়া হবে না

চলতি সপ্তাহেই ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, “এতদিনে ফলাফল দিয়ে দেওয়ার কথা। ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ চাকরিতে আবেদন করতে পারছি না। গত বছরও একইভাবে দ্বিতীয় বর্ষের ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা করা হয়েছিল। পরে সংবাদ প্রকাশ হলে ফলাফল দেওয়া হয়।”

২০২১-২২ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে ফলাফল দেওয়া আমাদের বিভাগে স্বপ্ন। বাস্তবে প্রতি সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশে ৫-৬ মাস সময় লাগে। নিয়মিত ক্লাস হয় না, পরীক্ষা সময়মতো হয় না, একাডেমিক ক্যালেন্ডার মেনে চলা হয় না। এর ফলে সেশনজট তৈরি হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এক সেমিস্টার পিছিয়ে গেছি।”

এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড.

নেজাম উদ্দিন বলেন, “ফলাফল নিয়ে আমরা কাজ করছি। বাকিদেরও বলছি ফলাফলের কাজ দ্রুত শেষ করতে। আশা করা যায়, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যাচের ফলাফল হয়ে যাবে।"

ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। অনেক সময় থিসিস, ডিফেন্সের জন্য দেরি হয়। রবিবার অফিসে গিয়েই আমি এ বিষয়ে খোঁজ নেব।”

এ বিষয়ে অবগত নন দাবি করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক রেজুয়ানুল হক বলেন, “বিষয়টি জেনে আমি খতিয়ে দেখব।”

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফল পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • গোলাম রাব্বানীর ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হওয়া অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ
  • আইফোন এয়ারে একটি ক্যামেরা কীভাবে কাজ করবে