সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ফল প্রকাশে ধীরগতি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
Published: 26th, July 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (২০১৯-২০ সেশন) দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দিয়েছে। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ব্যাচগুলোর ফল প্রকাশেও একই ধরনের বিলম্বের অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করলেও এখনো ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগের লিখিত পরীক্ষা গত ১৭ এপ্রিল, ল্যাব পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শেষ হয়েছে। এছাড়া গবেষণাপত্রের চূড়ান্ত প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭ মে। এর মধ্যে দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় চাকরি ও উচ্চশিক্ষার আবেদনসহ নানা ক্ষেত্রে তারা সমস্যায় পড়ছেন।
আরো পড়ুন:
ঢাবির হলে অধূমপায়ীদের কক্ষে ধূমপায়ীদের সিট দেওয়া হবে না
চলতি সপ্তাহেই ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, “এতদিনে ফলাফল দিয়ে দেওয়ার কথা। ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ চাকরিতে আবেদন করতে পারছি না। গত বছরও একইভাবে দ্বিতীয় বর্ষের ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা করা হয়েছিল। পরে সংবাদ প্রকাশ হলে ফলাফল দেওয়া হয়।”
২০২১-২২ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে ফলাফল দেওয়া আমাদের বিভাগে স্বপ্ন। বাস্তবে প্রতি সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশে ৫-৬ মাস সময় লাগে। নিয়মিত ক্লাস হয় না, পরীক্ষা সময়মতো হয় না, একাডেমিক ক্যালেন্ডার মেনে চলা হয় না। এর ফলে সেশনজট তৈরি হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এক সেমিস্টার পিছিয়ে গেছি।”
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড.
ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। অনেক সময় থিসিস, ডিফেন্সের জন্য দেরি হয়। রবিবার অফিসে গিয়েই আমি এ বিষয়ে খোঁজ নেব।”
এ বিষয়ে অবগত নন দাবি করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক রেজুয়ানুল হক বলেন, “বিষয়টি জেনে আমি খতিয়ে দেখব।”
ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফল পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
হুমকি দেওয়া নিয়ে ইবিতে সহ-সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিয
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহ-সমন্বয়কের বিরুদ্ধে। তবে মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে মানহানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী।
শনিবার (২৬ জুলাই) সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানীর বিরূদ্ধে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলোজি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী বুরহান মিয়া হোয়াটস অ্যাপে কল দিয়ে হুমকির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে বুরহান বলেন, “গত ২৩ জুলাই রাত ৮টা ৩ মিনিটে ০১৭৫১-৪৩৫৮১৮ নম্বর থেকে ১ মিনিটের একটি ভয়েস কলের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। কলদাতা পরিচয় গোপন রেখে বলেন ‘তুমি ক্যাম্পাস থেকে সরাসরি পাশ করে বের হতে পারবা না। তুমি কোথায় থাকো, কার সাথে থাকো (তোমার ভাবী ও দেড় বছরের ভাতিজা)—সব আমি জানি। সাবধানে থাকো, কখন কী হয় বলা যায় না।”
আরো পড়ুন:
ডিপিপির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ফল প্রকাশে ধীরগতি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
অভিযোগপত্রে আরো বলেন, “অভিযুক্ত রব্বানী মিথ্যাভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সম্পৃক্ত বলেও অপপ্রচার করেন, যা আমার ব্যক্তিগত সম্মান ও নিরাপত্তার প্রতি সরাসরি আঘাত। ব্যক্তিগত অনুসন্ধানের মাধ্যমে হুমকিদাতার পরিচয় জানতে পেরেছি।”
এদিকে রবিবার (২৭ জুলাই) বুরহান মিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির দায় তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী।
অভিযোগপত্রে গোলাম রব্বানী বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলোজি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী বুরহান মিয়া (রোল- ১৯১৮০১৪, রেজিস্ট্রেশন- ১৩২২) আমার বিরুদ্ধে একটি হুমকির অভিযোগ দিয়েছে। এটি পুরোপুরি মিথ্যা, যা আমার ব্যক্তিগত সম্মান ক্ষুণ্ন এবং হাজার হাজার শহীদকে ধারণ করা সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।”
অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, “আমি আমার পরিচয় দিয়ে এবং নিজ নম্বর থেকেই কয়দিন আগে কল দিয়েছিলাম একটা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। আমি যদি হুমকিই দিতাম, তাহলে নিজ পরিচয় প্রকাশ করে এবং নিজ নম্বর থেকে তো দেওয়ার কথা না, এটা তো পুরোপুরি স্পষ্ট। তারপর থেকে তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত আমার আর কোনো কথা হয়নি। তার অভিযোগপত্রটিতে মিথ্যা দিয়ে ভরে আমার সম্মান নষ্ট করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “বুরহান মিয়া আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করেছে এবং সবার কাছে হেয় করেছে। আমি এর বিরোধিতা করি এবং এর শাস্তি কামনা করছি।”
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “আমরা অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। গতকাল ও আজকের অভিযোগের বিষয় নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী