আইজিপির সঙ্গে জাতিসংঘের বাংলাদেশ–বিষয়ক নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক
Published: 7th, August 2025 GMT
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে জাতিসংঘের বাংলাদেশ–বিষয়ক নিরাপত্তা উপদেষ্টা টেস বি ব্রেসনান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার–সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে ব্রেসনান বাংলাদেশে অবস্থানরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারত্ব ও সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় আইজিপি বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ ও অন্যান্য বিদেশি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণায় ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। নতুন এ বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু উৎপাদন কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমেরিকান ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোগ্রাম’(এএমপি)।
ভারত বর্তমানে অ্যাপলের পণ্যের চূড়ান্ত সংযোজনের (অ্যাসেম্বল) অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। এটি যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর একটি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি তিনটি আইফোনের একটি ভারতে তৈরি হয়। যদি অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এর প্রভাব ভারতেও পড়তে পারে। ভারত ও অন্যান্য দেশে অ্যাপলের উৎপাদন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু বক্তব্যের কারণে এ উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে।
ভারত থেকে আসা পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর অ্যাপলের বিনিয়োগের বিষয়টি সামনে এসেছে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে কারণ দেখিয়ে ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপ করেছেন।
ভারতের ওপর প্রভাবঅ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে তাদের উৎপাদন বাড়াতে চায় এবং সেখানে ভালো মানের সরবরাহকারীদের একটি শক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায়। বর্তমানে ভারতে অ্যাপলের কর্মযজ্ঞ মূলত শেষ ধাপে পণ্যের সংযোজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাদের বেশির ভাগ কাঁচামাল চীন ও তাইওয়ান থেকে আসে। তবে ভারত সরবরাহব্যবস্থাকে মজবুত করে সরবরাহকারীর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। স্বল্প সময়ে অ্যাপলের এই পদক্ষেপ দেশটির পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলতে পারে।
২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের স্মার্টফোন রপ্তানি বেড়ে ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালে এই হার ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। একই সময়ে স্মার্টফোনের বাজারে আধিপত্য ধরে রাখা চীনের রপ্তানি ৮২ থেকে কমে ৪৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
মূল্যমানের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের শীর্ষ রপ্তানি পণ্য হলো স্মার্টফোন। তবে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন যে ভারতে তৈরি অ্যাপল আইফোনের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মুঠোফোন রপ্তানির বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে এই আইফোন।
এপ্রিলে একাধিক দেশের ওপর পাল্টা শুল্কের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন মুঠোফোন, কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যকে শুল্কের বাইরে রাখে। তবে নতুন করে এসব পণ্যের ওপর শুল্ক বসানোর আশঙ্কা এখনো রয়ে গেছে।