ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তিন গ্রামের বাসিন্দা একট্টা হয়ে অপর একটি গ্রামে হামলার ঘোষণা দিয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সুকনী, বিদ্যানন্দী ও নোয়াকান্দা এই তিন গ্রামের বাসিন্দারা ঢাল, সড়কি ও দেশীয় অস্ত্র হাতে ঢাকঢোল বাজিয়ে সুয়াদী গ্রামে হামলার মহড়া দিয়েছে। 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে এই রণসজ্জার দৃশ্য দেখা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার (৯ আগস্ট) এই তিন গ্রামের লোকজন সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই হট্টগোলের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিদ্যানন্দী মাঠে সুয়াদী ও সুকনী গ্রামের মধ্যে ফুটবল ম্যাচে এক অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে। এর জের ধরে তিন গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে সুয়াদী গ্রামে হামলার পরিকল্পনা করে।

ঢাকঢোলের তালে এই মহড়া এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপরতা বাড়িয়েছে এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, “আমরা নির্ভরযোগ্য সূত্রে জেনেছি, আজ শনিবার তারা সুয়াদী গ্রামে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকাল তারা সুয়াদী গ্রামের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এখনো থামেনি। আজকের সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে আমরা কঠোর নজরদারি ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।”

ঢাকা/তামিম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদ্‌যাপনের দাবি

রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদ্‌যাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম। তারা বলেছে, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারসহ তাঁদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।

আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আদিবাসী ফোরাম এই দাবি জানায়।

সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদ্‌যাপনের এই আয়োজনে আরও বেশকিছু দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম। এসব দাবির মধ্যে আছে—পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে সময়সূচিভিত্তিক রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে; সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে বিকৃত, খণ্ডিত বা মিথ্যা তথ্য প্রচার করা সব গণমাধ্যম বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপর সব নিপীড়ন–নির্যাতন বন্ধ করাসহ সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০০৭ সালে গৃহিত ‘আদিবাসীবিষয়ক ঘোষণাপত্র’ ও আইএলও ১৬৯ নম্বর কনভেনশন অনুসমর্থন ও আইএলও কনভেনশন ১০৭ বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ