জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাছির অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঢাকার একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৭-৮ জনের একটি দল তাকে আটক করে। রাতেই তাকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে ফরিদপুরের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 

এদিকে, নাছিরের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাত কয়েকজন নাছিরকে গাড়ির ভেতর বসিয়ে চড়-থাপ্পড় মারছেন। ফরিদপুরে এই ভিডিও এখন ফেসবুকে ট্রেন্ডিং, একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট ও শেয়ার হচ্ছে এটি।

ফরিদপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক নাজনীন আক্তার জানান, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় (জিআর নং ৬০৭/২৪) নাছিরকে আটক দেখানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নাছিরের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ৫ আগস্টের পর দায়ের করা একাধিক মামলা রয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তার গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/তামিম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার কোদালপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কোদালপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, ২ মহাসড়কে অবরোধ শিথিল

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থানায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রধান আসামি করে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলা থেকে নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ‘‘যেসব বিএনপি নেতাকর্মীর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সকলে বিগত দিনে স্বৈরাচারি হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’ 

কোদালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সালু মৃধা বলেন, ‘‘বিগত দিনে বিএনপি করার কারণে আমরা মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, হামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার আমাদের নাম একই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এটি ঘৃণিত ষড়যন্ত্র, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’’ 

ভুক্তভোগী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মৃধা বলেন, ‘‘আমি বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। এমনকি, জুলাই আন্দোলনেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার নাম মিরপুর থানার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’’ 

তিনি এর তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। 
 

ঢাকা/আকাশ/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
  • গ্রামীণ ব্যাংক ও রাষ্ট্র চালানো এক জিনিস না: ফরহাদ মজহার
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান সাংস্কৃতিক ভিন্নতাকে শক্তিতে রূপান্তর করেছে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা