বন্দরে স্কুল ছাত্রী হুমায়রা অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ১
Published: 9th, August 2025 GMT
বন্দরে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী হুমায়রা ইসলাম সারা (১৩) অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অপহরনকারি চক্রের সদস্য সাহেদ (২০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত সাহেদ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কুড়িয়াভিটা এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী মা নিতিকা জাহান লিয়া বাদী হয়ে শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতকে দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ । এর আগে গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কুড়িয়াভিটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই অপহরনকারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
অপহৃত স্কুল ছাত্রী হুমায়রা ইসলাম সারা একই উপজেলার একই ইউনিয়নের শুভকরদী এলাকার কামরুল হাসান হিরা মিয়ার মেয়ে। সে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছিল।
জানা গেছে, মামলার বাদিনী মেয়ে হুমায়রা ইসলাম সারা স্কুলে যাওয়া আসার পথে কুড়িয়া ভিটা এলাকার আবুল হোসেন মিয়ার বখাটে ছেলে নাদিম ও একই এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে সাহেদ দীর্ঘ দিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে উত্যক্তসহ প্রেমের প্রভাব দিয়ে আসছিলো।
স্কুল ছাত্রী নাদিমের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে এ ঘটনায় নাদিম ও তার সহযোগী সাহেদ স্কুল ছাত্রীকে যে কোন ভাবে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। স্কুল ছাত্রী বিষয়টি তার পিতা/ মাতাকে জানালে মামলার বাদিনী বিষয়টি নাদিম ও সাহেদের পিত/মাতাকে জানায়।
এর ধারাবাহিকতা গত ৬ আগস্ট বিকাল ৪টায় স্কুল ছাত্রী হুমায়রা ইসলাম সারা শুভকরোদী তিন রাস্তার মোড়ে দোকানে যাওয়ার পথে বন্দর থানাধীন শুভকরদীস্থ হাজী নুর উদ্দিনের বসত বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছলে ওই সময় অপহরনকারি নাদিম ও তার মা তানজিলা (আশা) ও সহযোগী সাহেদ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উল্লেখিত স্কুল ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক একটি অজ্ঞাতনামা সিএনজি যোগে অপহরণ করিয়া অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে আটক রাখে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মদনগঞ্জ ফাঁড়ি উপ পরিদর্শক মোমরেজ গণমাধ্যমকে জানান, স্কুল ছাত্রী অপহরনের ঘটনায় মামলার ৩ নং এজাহারভূক্ত আসামী সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপহরণ ইসল ম স র এল ক র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, অপহরণসহ ২৮ মামলার পলাতক আসামি ও ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ( ৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী। টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক পাচারকারীর মধ্যে নুরুল হুদাও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১৬টি মাদক, একটি অপহরণ, ৩টি অস্ত্র, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন, চারটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচার, বিস্ফোরক ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
পৃথক অভিযানে টেকনাফের দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি বলেন, সরকার মাদক চোরাচালান দমনে কঠোর অবস্থানে। মাদক ও মানব পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।