জোড়া পুরস্কারে আলোকিত ফুটবল–রত্ন
Published: 9th, August 2025 GMT
একই পুরস্কারের মঞ্চে দুবার ডাক—এমন সৌভাগ্য হয়তো খুব কম ক্রীড়াবিদেরই হয়। সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪-এর মঞ্চে প্রথমবার বিচারকদের বেছে নেওয়া বর্ষসেরার পদক হাতে নিয়ে যখন ঋতুপর্ণা চাকমা উঠলেন, হলভর্তি করতালির স্রোত।
ঠিক পরের মুহূর্তে পাঠকদের হৃদয় জয় করে দ্বিতীয়বার বর্ষসেরার খেতাব জিতলেন তিনি, আবারও ছড়িয়ে পড়ল আলো। এক বিকেলে দুটি জয়, যাঁর কেন্দ্রে থাকা ঋতুপর্ণা হয়ে উঠলেন পুরো অনুষ্ঠানেরই প্রধান আকর্ষণ।
ভুটান থেকে বিশেষ ছুটি নিয়ে শুক্রবার ঢাকায় এসেছেন রাঙামাটির মেয়ে। দুই হাত ভরে বর্ষসেরার পুরস্কার, মুখে লাজুক কিন্তু প্রাণবন্ত হাসি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বললেন, ‘আমি খুব খুশি। সবাইকে অভিনন্দন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক, পরিবার, ফুটবলভক্ত ও বাফুফের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
এক ফাঁকে স্বপ্ন ছড়িয়ে দেন বহুদূর, ‘আমরা দুবার সাফ সেরা হয়েছি, এবার এশিয়ার মঞ্চে খেলব, বাংলাদেশকে বিশ্ব মঞ্চেও নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করব।’
ঋতুপর্ণার হাতে বর্ষসেরার পুরস্কার তুলে দেন রানী হামিদ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ