বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে আমার সম্পর্কের শুরুর কথা বলতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে। সেই বছর আমি দ্বিতীয় জাতীয় দাবার বাছাইপর্বে প্রথম অংশগ্রহণ করি। তখন আমার বয়স ছিল ৯ বছর। আর এ বছর আমি ৫৯তম জন্মদিন পালন করলাম। অর্থাৎ পুরো অর্ধশতক। এই ৫০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের ক্রীড়াজগৎ নিয়ে আমাকে কিছু বলতে বলা হয়েছে।

স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ছিল মূল খেলা। এ দেশের মানুষ বরাবরই ফুটবলপ্রিয়। ১৯৫৮ সাল থেকে ঢাকায় আগা খান গোল্ড কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। স্বাধীনতার পরও খেলার তারকা বলতে আমরা ফুটবলারদেরই বুঝতাম। সালাহউদ্দিন ভাই, এনায়েত ভাই, চুন্নু ভাই, আসলাম ভাই—ওনারাই ছিলেন সত্তর–আশি দশকের তারকা। আমি নিজেও কিন্তু এই ফুটবল উন্মাদনার মধ্যে বড় হয়েছি। প্রতিদিন বিকেল হওয়ার আগেই আমি পাড়ার মাঠে ফুটবল খেলতে নেমে পড়তাম। ১৯৭৭ সালে আমি জাতীয় দাবা খেলোয়াড় হয়ে গেছি, কিন্তু ফুটবল খেলা মিস দিতাম না। দাবাগুরু কাজী মোতাহার হোসেন আমার সঙ্গে দাবা খেলতে আসতেন। বাইরে থেকে ফুটবল খেলার আওয়াজ আসত, আর আমার মন ছটফট করত। কিন্তু এমন একজন মনীষী সামনে বসা, আমার কিছু করার থাকত না।

আরও পড়ুনবিচারক ও পাঠকদের রায়ে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ঋতুপর্ণা৮ ঘণ্টা আগে

১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে এমসিসি, ভারতের ডেকান ব্লুজ এবং শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসে। আমরা এই ম্যাচগুলো মাঠে গিয়ে দেখেছি। এই সময় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা একটু বাড়তে থাকে। রকিবুল হাসান, ইউসুফ রহমান বাবু, জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা, শফিকুল হক হীরা প্রমুখ ঘরে ঘরে বেশ পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন। হকি তারকা সাব্বির ইউসুফ, আবদুস সাদেক প্রমুখের নাম আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু তাঁদের ফুটবলারদের মতো ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল না। তবে দাবা ফেডারেশনের রুমটা হকি স্টেডিয়ামের উল্টো দিকে হওয়ায় আমরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রায়ই হকি খেলা দেখতাম।

সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন (বাঁ থেকে) শেখ মোহাম্মদ আসলাম, নিয়াজ মোরশেদ, সাবরিনা সুলতানা ও আসিফ হোসেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ফায়ারফক্সে আসছে এআই উইন্ডো

কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা বা এআইকেন্দ্রিক ব্রাউজারের বাজার দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতার মধ্যেই ফায়ারফক্সে নতুন এআই উইন্ডো নামের বিশেষ সুবিধা যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে মজিলা। সুবিধাটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় প্রয়োজন অনুসারে একটি সমন্বিত এআই সহকারীর সাহায্য নিতে পারবেন। পুরো প্রক্রিয়াই থাকবে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে।

এক ব্লগ বার্তায় মজিলা জানায়, এআই উইন্ডো ব্রাউজিংয়ে ক্ষেত্রে এআই নির্দেশনা ও ব্যক্তিগত সহায়তার সুবিধা দেবে। সুবিধাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় থাকবে না। আগ্রহী ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজে থেকেই চালু করবেন। যেকোনো সময় বন্ধ করা যাবে। এআইনির্ভর এই সুবিধা ওপেন সোর্স প্রযুক্তির ভিত্তিতে তৈরি করা হচ্ছে।

ফিচারটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ কিছু ব্যবহারকারীর কাছে উপলব্ধ হয়েছে। মজিলা জানিয়েছে, যে কেউ চাইলে আগের মতোই ফায়ারফক্স ব্যবহার করে নিজের পছন্দমতো কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা পাবেন। আরও বেশি গোপনীয়তা চাইলে প্রাইভেট উইন্ডো ব্যবহার করতে পারবেন। এআই উইন্ডো ব্রাউজিংকে আরও ব্যক্তিগত উপায়ে ব্যবহারের সুযোগ দেবে।

এআই চালিত ব্রাউজারের ব্যবহার বাড়তে থাকায় বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি এখন সার্চবারের জায়গায় চ্যাটবট যুক্ত করা বা সম্পূর্ণ এআইনির্ভর ব্রাউজার তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছে। ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস বা পারপ্লেক্সিটির কমেট পুরোপুরি এআই এজেন্টকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে।

ভবিষ্যতে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলনির্ভর ব্রাউজারের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিযোগিতার মধ্যেও ভিন্ন অবস্থান তৈরি করতে চেষ্টা করছে মজিলা। তারা বলছে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা—এই তিন নীতি সামনে রেখে ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা দেওয়া হচ্ছে। ওয়েবকে সবার জন্য উন্মুক্ত, মুক্ত ও নিরাপদ রাখতে চায় মজিলা। মজিলার ভাষ্য অনুযায়ী, ফায়ারফক্সে কোনো একক ইকোসিস্টেমে ব্যবহারকারীকে আটকে রাখা হবে না। এআই ব্যবহারের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতাও থাকবে না। কখন, কীভাবে বা আদৌ এটি ব্যবহার করবেন কি না, এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যবহারকারীর।

এ বছরের জুনে ফায়ারফক্সের অ্যাড্রেসবারে থাকা ইউনিফায়েড সার্চ সুবিধায় সরাসরি পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মাধ্যমে অনুসন্ধানের অপশন যুক্ত করে মজিলা। নতুন এআই উইন্ডো ফিচার যুক্ত হলে ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা আরও বহুমাত্রিক হয়ে উঠবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ