হাইয়ার এডুকেশন অ্যাক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) গবেষণা প্রকল্প থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপি ও জামাতপন্থি শিক্ষকদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (১০ আগস্ট) বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন  শিক্ষকরা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিম, অধ্যাপক ড.

মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলা, অধ্যাপক ড. গাজী আরিফুজ্জামান খান, অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম ও ড. শরিফুল ইসলাম। 

আরো পড়ুন:

শাবিপ্রবির হিট প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক লবিংয়ের অভিযোগ

ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা আয়োজন

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, শাবিপ্রবি, রাবি ও ইবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী শিক্ষকদের প্রকল্প নির্বাচিত হলেও শুধু আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের প্রকল্প মূল্যয়ন করা হয়েছে। আমাদের গবেষণার মান, সাইটেশন বেশি থাকা সত্ত্বেও আমাদের মূল্যয়ন না করে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

তারা হিট প্রকল্পে পর্যালোচনা ও নির্বাচনে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- রিভিউ প্রক্রিয়ার গুণগত মান ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব, 'ব্লাইন্ড পিয়ার রিভিউ' এর মিথ্যা দাবি, প্রেজেন্টেশনে মূল্যায়ন প্রসঙ্গে, অঘোষিত বিভাগ ভিত্তিক বৈষম্য, রিসার্চ কোয়ালিটির নামে বিভ্রান্তি ও অবহেলা, শিল্প সহযোগী ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্ট অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বা বিভাগ ভিত্তিক প্রকল্প সংখ্যা ও অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য, নৈতিক ও আদর্শগত সংকট, প্রকল্প জমাদানের সময় বর্ধিত করে অনৈতিক সুযোগ প্রদান, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও তার প্রভাব, চূড়ান্ত বাছাই বোর্ডে তাচ্ছিল্যমূলক ব্যবহার এবং হিট রিভিউ পদ্ধতির মাধ্যমে ও ব্যবস্থাপনার নামে অর্থের অপচয়। 

তারা প্রকল্প পূর্ণমূল্যায়নসহ তিন দফা দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচিত প্রকল্পগুলো বাতিল করা; ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান ও প্রকল্প পরামর্শক অধ্যাপক মোজাহার আলীকে দায়বদ্ধ করা; উপযুক্ত নতুন প্রক্রিয়া গ্রহণ করে প্রকল্প নির্বাচন করা।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব শ বব দ য শ বব দ য ল শ ক ষকদ র প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের নিন্দা জানাচ্ছেন রাষ্ট্রদূতরা

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনার নিন্দা জানানো শুরু করেছেন পরিষদে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। রবিবার অধিবেশন শুরুর পরপরই তারা নিন্দা জানানো শুরু করেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি ইসরায়েলের পরিকল্পনাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ‘বেপরোয়াভাবে শত্রুতা তীব্রতর করার পরিবর্তে সক্রিয় কূটনীতির বদৌলতে’ হামাস ১৪০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

পলিয়ানস্কি বলেছেন, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সহিংসতা আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে ইসরায়েলি জিম্মিদের নিরাপত্তা এবং জীবন বিপন্ন হয়েছে।”

তিনি ইসরায়েলকে গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ করার জন্য অভিযুক্ত করে বলেছেন, “এই অমানবিক হত্যাকাণ্ড শেষ হওয়ার আগে আরো কত ফিলিস্তিনিকে মারতে হবে?”

জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং জানিয়েছেন, গাজার পরিস্থিতি ‘আরো বিপজ্জনক দিকে বিকশিত হচ্ছে।’

তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ‘গাজা দখলের যেকোনো প্রচেষ্টার দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করতে হবে’ এবং গাজা শহরে সামরিক আক্রমণ পুনর্নবীকরণের ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাতে হবে।

ফু বলেছেন, “এই সমস্যার সমাধানের উপায় সামরিক নয়।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ