দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর লিলিসা বেসরা নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে জিজ্ঞাসার জন্য আটক করা হয়েছে। 

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পূর্ব জয়দেবপুর হাতিমারা গ্রামের একটি বাগান থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল মতিন।

নিহত শিশু একই উপজেলার ১ নম্বর জয়পুর ইউনিয়নের বুরিকাঁঠাল ঠসারমোড় গ্রামের দিনেশ বেসরার মেয়ে।

আরো পড়ুন:

সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরিয়ে রাতে ছেলেকে পুকুরে ফেলে দিলেন বাবা

সড়কের পাশে সন্তান জন্ম দিলেন নারী, হাসপাতালে নিল পুলিশ 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার সকালে উপজেলার পূর্ব জয়দেবপুর হাতিমারা গ্রামে শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে রাবনের মেয়ে কেয়ার বিয়ে খেতে আসে। ওইদিন বিকেল থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান পায়নি।

পরে সোমবার সকালে এলাকাবাসী একটি বাগানে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যরা শিশুটির লাশ সনাক্ত করে এবং পুলিশ তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল মতিন জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। জোরালো তদন্ত চলছে।”

ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র আটক

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই পাঁচ অভিযোগ হলো, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক। দুজনই এখন ভারতে অবস্থান করছেন।

এই মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে আজ সোমবার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাস থেকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করার কথা রয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় হতে যাচ্ছে আজ।

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে গতকাল রোববার এক ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ তাঁরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিক না কেন, প্রসিকিউশন সেটা মেনে নেবে।

এই প্রসিকিউটর বলেন, এ মামলার রায়ের যে অংশটুকু ট্রাইব্যুনাল পড়ে শোনাবেন, সেটুকু ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

আরও পড়ুনজুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় আজ ১ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, রায়ে যদি ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান করেন, তাহলে ইন্টারপোলে আরেকটি ‘কনভিকশন ওয়ারেন্টের’ (দণ্ডাদেশের পরোয়ানা) আবেদন করবে প্রসিকিউশন, তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসিনার বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ
  • শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচ অভিযোগ