দীর্ঘ নয় বছরের প্রেমালাপ, চারটি সন্তান, অসংখ্য স্মৃতি আর অগণিত মুহূর্তের পর অবশেষে ভালোবাসাকে নতুন অধ্যায়ে নিয়ে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জীবনের সুখ-দুঃখের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন পর্তুগিজ ফুটবল মহাতারকা।

২০১৬ সালের এক শীতের বিকেল। মাদ্রিদের একটি গুচি শোরুমে ক্রেতা রোনালদো আর বিক্রয়কর্মী জর্জিনার প্রথম দেখা। সেই ক্ষণিক পরিচয় ধীরে ধীরে রূপ নেয় গভীর সম্পর্কে। গোপন ডেটিং থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে একসঙ্গে উপস্থিত হওয়া, সবই যেন রূপকথার মতো। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ফিফা দ্য বেস্ট অনুষ্ঠানে প্রথমবার হাত ধরে জনসম্মুখে আসেন তারা। একই বছরের নভেম্বরে জন্ম নেয় তাদের প্রথম কন্যা আলানা মার্তিনা। ২০২২ সালে আবারও বাবা-মা হন, কন্যা বেলা এস্মেরলাদার জন্মে। তবে সেই আনন্দের দিনেই হারান যমজ সন্তানের একজনকে। যা তাদের জীবনে গভীর দুঃখের স্মৃতি হয়ে আছে।

সব উত্থান-পতনে রোনালদোর পাশে থেকেছেন জর্জিনা। একইসঙ্গে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজের ক্যারিয়ার, হয়েছেন ফ্যাশন আইকন ও বিনোদন দুনিয়ার পরিচিত মুখ। তবে এত দীর্ঘ সম্পর্কেও বিয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকায় ভক্তদের মনে ছিল একরাশ অপেক্ষা ও প্রশ্ন।

আরো পড়ুন:

রোনালদোর জোড়া গোল, তবুও হারল আল-নাসর

নেই মেসি, হারল মায়ামি

অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান। সোমবার (১১ আগস্ট) নিজের ইনস্টাগ্রামে হাতে হীরার আংটি পরা ছবি শেয়ার করেন জর্জিনা। ক্যাপশনে লিখেন— “হ্যাঁ, আমি রাজি। এই জীবনে এবং আমার সব জন্মেই।”
ছবিটি তোলা হয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদে, যেখানে রোনালদো বর্তমানে আল-নাসরের হয়ে খেলছেন।

এখন প্রশ্ন একটাই, কবে হবে সেই রাজকীয় বিয়ে? ভক্তরা নিশ্চিত, ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় বিবাহোৎসবের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে থানা চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুরের রাজৈর থানা চত্বর থেকে মাদক মামলার আসামি অনিমেষ ওরফে গণি গাইন (৩২) পালিয়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর ফের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের পাটকেলবাড়ী গ্রামের আত্মীয় অসিত রায়ের বাড়ি থেকে অনিমেষকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আসামি অনিমেষকে রাজৈর থানা চত্বর থেকে আদালতে হাজির করতে পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর সময় পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। তিনি উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইনের ছেলে

থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার রাতে অভিযানে চালিয়ে অনিমেষ গাইনসহ মোট চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছে গাঁজা ও ইয়াবা পাওয়া যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা করে রাজৈর থানা-পুলিশ। পরে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের মাদারীপুর আদালতে নেওয়ার জন্য পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এ সময় কৌশলে হাতকড়ার ভেতর থেকে হাত বের করে পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় অনিমেষ। এ ঘটনায় আহসান হাবিব ও সাদ্দাম হোসেন নামে রাজৈর থানার দুই পুলিশ সদস্যকে গতকাল সন্ধ্যায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি পালিয়ে গোপালগঞ্জ জেলায় তাঁর ভায়রার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। আজ সকালে আসামি অনিমেষ গাইনকে আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ