বিএনপি’র পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি: রাজাপুরে ১৪৪ ধারা জারি
Published: 13th, August 2025 GMT
ঝালকাঠির রাজাপুরে একই সময়, তারিখ ও স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টা-পাল্টি সমাবেশ ডাকায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত ১০ টায় ০৫. ১০. ৮২৮৪. ০০১. ০৬. ০০১. ২৫-৯০৮ নম্বর স্মারকে এ আদেশ জারি করেছেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ।
ইউএনও স্বাক্ষরিত আদেশে লেখা রয়েছে, ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাজাপুর উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্ত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় ১৩ আগস্ট বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্ত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় সভা সমাবেশ, মিছিল, মিটিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো।”
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জারিকৃত এমন আদেশের কারণ হিসেবে বলা হয় যে, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজাপুর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নুর হোসেন কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্রে জানানো হয় ১৩ আগস্ট বুধবার বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে র্যালি ও সমাবেশ করবেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল রাজাপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.
একই স্থানে একই সময় পাল্টা-পাল্টি সমাবেশের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটতে পারে বিধায় উক্ত অবস্থা প্রতিরোধকল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বলে উপজেলে প্রশাসন বরাবরে একটি পত্র দাখিল করেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন।
পরে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ কর্তৃক ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্ত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় এ আদেশ জারি করা হয়।
ঢাকা/অলোক/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জ প র উপজ ল কর মকর ত ১৪৪ ধ র একই স
এছাড়াও পড়ুন:
ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।
ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক