ইরানের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ২১ হাজার সন্দেহভাজন
Published: 13th, August 2025 GMT
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশে ধরপাকড় শুরু করে ইরানের পুলিশ। ১২ দিনের যুদ্ধে তারা প্রায় ২১ হাজার ‘সন্দেহভাজন’কে গ্রেপ্তার করার দাবি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে পুলিশের মুখপাত্র সাঈদ মন্তাজেরোল মাহদি এ তথ্য জানান। ইরানের পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ জুন ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরুর পর দেশজুড়ে চেক পয়েন্ট স্থাপন ও রাস্তায় টহল জোরদার করা হয়। পাশাপাশি জনগণকে সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে খবর দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পুলিশের মুখপাত্র বলেন, জনগণের কাছ থেকে কল ৪১ শতাংশ বেড়েছে, যা ১২ দিনের যুদ্ধে ২১ হাজার সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের কারণ হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের পর ইরানে অবৈধভাবে থাকা আফগান অভিবাসীদের বহিষ্কারের গতি বেড়েছে। সহায়তাকারী সংস্থাগুলো বলছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কিছু আফগান নাগরিকের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগও তুলেছে। পুলিশের মুখপাত্র আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২ হাজার ৭৭৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে