রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কী?
রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বলতে মূলত বিদেশে ব্যবহৃত, সেই দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম চালিত ও ভালো অবস্থার গাড়িকে বোঝায়, যা দেশে এনে আবার নতুনের মতো করে বিক্রি করা হয়। গাড়ির কোনো যন্ত্রাংশ বিকল থাকলে জাপান থেকে অথবা দেশে মেরামতের মাধ্যমে ঠিক করে গাড়িগুলোকে নতুনের মতো করে ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সবচেয়ে বেশি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি জাপান থেকেই আসে। জাপানের রোড রেজিস্ট্রেশন নিয়মের কারণে গাড়িগুলো অল্প ব্যবহারের পরই বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। গ্রাহকদের চাহিদা থাকার কারণে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এখনো দেশের গাড়ির বাজারে রাজত্ব করছে।
আশির দশকের শেষ দিকে সরকারের উদার নীতিমালা গ্রহণের পর থেকে জেডিএম গাড়ি দেশের বাজারে প্রবেশ করতে শুরু করে, যদিও তখন আমদানি ছিল সীমিত। ১৯৯৬ সালের পর থেকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বাজারের বাণিজ্যিক উত্থান হয়। তৎকালীন সরকার রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে কর সুবিধা এবং নির্দিষ্ট বয়সসীমার শর্ত নির্ধারণ করে। হু হু করে বাড়তে থাকে দেশের বাজারে জেডিএম গাড়ির সংখ্যা। ঠিক এক দশক পর গাড়িগুলোর নিরবচ্ছিন্ন সেবা, দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রাংশ, স্বল্প রক্ষণাবেক্ষণ খরচ গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়ে দেয়। বছরের পর বছর ব্যবহার করেও আবার বিক্রির সময় প্রায় একই মূল্যে গাড়িগুলোকে বিক্রিও করা যায়। ২০০৬-এর পর থেকে জাপানিজ গাড়িগুলোর চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে যায়। নতুন নিবন্ধিত গাড়ির প্রায় ৮২ শতাংশ রিকন্ডিশন্ড বা গ্রে মার্কেট আমদানি করা গাড়ি, যা মূলত জাপান থেকে আসে। এ ছাড়া রিকন্ডিশন্ড গাড়ির মধ্যে জাপান থেকেই ৯৫ শতাংশ গাড়ি আসে। জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা, হোন্ডা, মিতসুবিশি, মাজডা, নিশান এবং সুজুকি দেশের বাজারে বেশ জনপ্রিয়। কমপ্যাক্ট সেডান, হ্যাচবেক, ক্রসওভার, এসইউভি, এমপিভি এবং লাক্সারি সব বিভাগেই রয়েছে জাপানি গাড়ির বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মডেল।
টয়োটা অ্যাকুয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে