Prothomalo:
2025-08-13@15:10:23 GMT

রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বাজারে

Published: 13th, August 2025 GMT

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কী?

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বলতে মূলত বিদেশে ব্যবহৃত, সেই দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম চালিত ও ভালো অবস্থার গাড়িকে বোঝায়, যা দেশে এনে আবার নতুনের মতো করে বিক্রি করা হয়। গাড়ির কোনো যন্ত্রাংশ বিকল থাকলে জাপান থেকে অথবা দেশে মেরামতের মাধ্যমে ঠিক করে গাড়িগুলোকে নতুনের মতো করে ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সবচেয়ে বেশি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি জাপান থেকেই আসে। জাপানের রোড রেজিস্ট্রেশন নিয়মের কারণে গাড়িগুলো অল্প ব্যবহারের পরই বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। গ্রাহকদের চাহিদা থাকার কারণে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এখনো দেশের গাড়ির বাজারে রাজত্ব করছে।

আশির দশকের শেষ দিকে সরকারের উদার নীতিমালা গ্রহণের পর থেকে জেডিএম গাড়ি দেশের বাজারে প্রবেশ করতে শুরু করে, যদিও তখন আমদানি ছিল সীমিত। ১৯৯৬ সালের পর থেকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বাজারের বাণিজ্যিক উত্থান হয়। তৎকালীন সরকার রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে কর সুবিধা এবং নির্দিষ্ট বয়সসীমার শর্ত নির্ধারণ করে। হু হু করে বাড়তে থাকে দেশের বাজারে জেডিএম গাড়ির সংখ্যা। ঠিক এক দশক পর গাড়িগুলোর নিরবচ্ছিন্ন সেবা, দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রাংশ, স্বল্প রক্ষণাবেক্ষণ খরচ গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়ে দেয়। বছরের পর বছর ব্যবহার করেও আবার বিক্রির সময় প্রায় একই মূল্যে গাড়িগুলোকে বিক্রিও করা যায়। ২০০৬-এর পর থেকে জাপানিজ গাড়িগুলোর চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে যায়। নতুন নিবন্ধিত গাড়ির প্রায় ৮২ শতাংশ রিকন্ডিশন্ড বা গ্রে মার্কেট আমদানি করা গাড়ি, যা মূলত জাপান থেকে আসে। এ ছাড়া রিকন্ডিশন্ড গাড়ির মধ্যে জাপান থেকেই ৯৫ শতাংশ গাড়ি আসে। জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা, হোন্ডা, মিতসুবিশি, মাজডা, নিশান এবং সুজুকি দেশের বাজারে বেশ জনপ্রিয়। কমপ্যাক্ট সেডান, হ্যাচবেক, ক্রসওভার, এসইউভি, এমপিভি এবং লাক্সারি সব বিভাগেই রয়েছে জাপানি গাড়ির বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মডেল।

টয়োটা অ্যাকুয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব 

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যাবে।

আরো পড়ুন:

১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার

১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে, আসল-নকল চেনার উপায়

যাদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।

ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় থাকা সাবেক ডেপুটি গভর্নররা হলেন এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। মো. মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যাংকগুলোকে পাঠানো বিএফআইইউ চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ, কেওয়াইসি ফরমসহ সব তথ্য আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকে, সেটির তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ