ফতুল্লায় অবৈধ পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানায় র‌্যাব, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে পূর্ব দেলপাড়া ও ভুইগড় এলাকার চারটি কারখানায় দিনব্যাপী এই অভিযান চলে।

অভিযানে ১৭ টন নিষিদ্ধ পলিথিন, ১ হাজার ৫০০ কেজি প্লাস্টিক দানা জব্দ করা হয় এবং মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সোহাগ পলিথিনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, আল মদিনাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১৫ টন পলিথিন জব্দ করা হয়। আব্বাসিয়া পলিমারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, আর একটি নামবিহীন কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

র‌্যাব-১১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.

তারিকুল ইসলাম জানান, অভিযানে ইতিমধ্যে কয়েকটি কারখানায় জরিমানা ও বিপুল পরিমাণ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ধ পল থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ