১০ দিনে অনলাইনে রিটার্ন দিলেন এক লাখ করদাতা, কীভাবে দেবেন
Published: 14th, August 2025 GMT
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ই-রিটার্ন জমার ব্যবস্থা চালুর প্রথম ১০ দিনেই রিটার্নদাতার সংখ্যা প্রায় এক লাখ হলো।
৪ আগস্ট ২০২৫-২৬ কর বছরের জন্য অনলাইনে ই-রিটার্ন জমা শুরু হয়। ই-রিটার্ন চালুর পর থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ১০ দিনে ৯৬ হাজার ৯৪৫ জন করদাতা ই-রিটার্ন জমা দেন।
যা গতবারের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি। গত প্রথম ১০ দিনে ২০ হাজার ৫২৩ জন করদাতা ই-রিটার্ন দিয়েছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ১ কোটি ১২ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। প্রতিবছর ৪০ লাখের মতো টিআইএনধারী রিটার্ন দেন।
৩ আগস্ট এনবিআর এক বিশেষ আদেশে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা অথবা মৃত করদাতার পক্ষে আইনি প্রতিনিধি ব্যতীত সারা দেশের সব ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার অনলাইনে (www.
এনবিআর আরও বলছে, কোনো ব্যক্তি করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধনসংক্রান্ত সমস্যার কারণে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে সমর্থ না হলে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের নিকট সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতাসহ আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে তিনি কাগুজে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
গত বছর সীমিত আকারে ব্যক্তি করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলে ১৭ লাখের বেশি ব্যক্তি করদাতা অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করেন।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-রিটার্ন দাখিলের রসিদ প্রিন্ট নিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখপূর্বক স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়কর সনদ প্রিন্ট করতে পারেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ–সংযোগ কেটে দেওয়া হতে পারে
আয়কর রিটার্ন না দিলে আপনার গ্যাস-বিদ্যুৎসহ পরিষেবার সংযোগ কেটে দেওয়া হতে পারে। আয়কর আইনে সেই ক্ষমতা কর কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে আয়কর নির্দেশিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তাতে রিটার্ন জমা না দিলে পাঁচ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।
এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কোনো করদাতা যদি রিটার্ন জমা না দেন, কিন্তু তাঁর করযোগ্য আয় আছে কিংবা রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা আছে; তাহলে কর কর্মকর্তারা চাইলে ওই ব্যক্তির বাসাবাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠানের গ্যাস-বিদ্যুৎসহ পরিষেবার লাইন কেটে দিতে পারেন।
আয়কর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে করদাতার যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলো হলো—১. আয়কর আইনের ২৬৬ ধারা অনুসারে জরিমানা, ২. ১৭৪ ধারা অনুসারে কর অব্যাহতির ক্ষেত্র সংকোচন, ৩. মাসিক ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর পরিশোধ, ৪. পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া ও ৫. বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে জটিলতা ইত্যাদি।
রিটার্ন জমা কাদের জন্যদুই শ্রেণির কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) আয়কর রিটার্ন দিতে হয়। তাঁরা হলেন যাঁদের করযোগ্য আয় বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পেরিয়ে গেছে। অপর শ্রেণি হলো যাঁদের আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। এখানে বলা প্রয়োজন, ৩৯ ধরনের সেবা নিতে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র দেখাতে হয়।
রিটার্ন কোথায় জমা দিতে হয়১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে পারেন। সেখানে সারা বছরের আয়-ব্যয়ের তথ্য দিতে হয়। এ বছর থেকে সব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হবে। www. etaxnbr. gov. bd এই ঠিকানায় অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে বিশেষ পাঁচ শ্রেণির করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন জমা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ১ কোটি ১২ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাঁদের মধ্যে বছরে ৪০ লাখের মতো করদাতা রিটার্ন দেন। গত অর্থবছরের ১৭ লাখের মতো করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেন। তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ করদাতা কোনো কর দেননি। তবে রিটার্ন দিয়েছেন।